'সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশ বা বিরোধীদের টার্গেট করার জন্য ঘৃণামূলক, অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেছেন নরেন্দ্র মোদী।' বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা এক খোলা চিঠিতে আজ এমনই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। উল্লেখ্য, ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটের আগে পঞ্জাবের ভোটারদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন মনমোহন। সেই চিঠিতে ভোটারদের কাছে আবেদন করে তিনি বলেন, ভারতে একনায়কতন্ত্র উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আবহে স্বৈরাচারী সরকারের আক্রমণ থেকে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখার শেষ সুযোগ এটাই। (আরও পড়ুন: বাংলায় ৩০ আসনের লক্ষ্যে কত 'বল' খেললেন মোদী? স্লগ ওভারে মিলল পরিসংখ্যান)
আরও পড়ুন: এখনও শেষ হয়নি লোকসভা ভোট, তার আগেই সম্প্রচারিত হল বাকি দফার বুথ ফেরত সমীক্ষা!
আরও পড়ুন: বিবেকানন্দ রকে মোদীর ধ্যান কি আদতে 'মৌন প্রচার'? EC-র দ্বারস্থ কংগ্রেস
মনমোহন সিং নিজের চিঠিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সবচেয়ে জঘন্য ধরনের ঘৃণামূলক ভাষণে লিপ্ত হয়েছেন এই নির্বাচনের সময়ে। এই নির্বাচন চলাকালীন আমি রাজনৈতিক প্রচারগুলি অনুসরণ করছি। মোদীজি এবারে যে ঘৃণামূলক বক্তৃতা দিয়েছে তা খুবই জঘন্য ছিল। এই ভাষণের মাধ্যমে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করেন মোদী। মোদীজি আমার দেখা এমন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মর্যাদা খর্ব করেছেন। এই পদের মূল্য কমিয়ে দিয়েছেন। অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রী সমাজের কোনও একটি অংশকে বা বিরোধী দলকে টার্গেট করে এমন ঘৃণ্য, অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করেননি। তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা বিবৃতিও দিয়েছেন। আমি আমার জীবনে কখনও এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে দেখিনি। এটায় শুধুমাত্র বিজেপির কপিরাইট আছে। (আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিমার ক্যাশলেস ক্লেম মেটানো নিয়ে নয়া নির্দেশিকা IRDAI-র, জেনে নিন বিশদ)
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় BJP-র ফল নিয়ে 'বিস্ফোরণ' নড্ডার, অঙ্ক মিলল না শাহের সঙ্গে!
এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর উপর অগ্নিবীর প্রকল্প 'চাপিয়ে দেওয়ার' জন্যও বিজেপির সমালোচনা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। এই আবহে মনমোহন তাঁর চিঠিতে লেখেন, 'অগ্নিবীর প্রকল্প জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। কংগ্রেস তাই অগ্নিবীর প্রকল্প বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।' মনমোহনের কথায়, সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মাতৃভূমির সেবা করার স্বপ্ন দেখা পঞ্জাবি কৃষকের ছেলেরা এখন সেনায় যাওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। তারা ৪ বছরের জন্য চাকরি পাওয়ার জন্যে এই নিয়োগ পাওয়ার আগে দু'বার ভাবছেন। যাঁরা সেনায় যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এই বর্তমান সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।