ভোট একেবারে মাঝপথে। তার মধ্য়ে যুযুধান দলগুলি নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হচ্ছে। এবার কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে ভারতের দরিদ্রতম মানুষদের জন্য ১০ কেজি করে বিনামূল্যে রেশন দেবে কংগ্রেস। যদি তারা ক্ষমতায় আসে। বুধবার লক্ষ্মৌতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, এবার যদি ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তবে আমরা প্রতিমাসে গরীবদের জন্য ১০ কেজি করে রেশন দেব।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মল্লিকার্জুন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে চতুর্থ দফার ভোট মিটেছে। ইন্ডিয়া জোট একটা শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সঙ্গে জানাচ্ছি যে এবার নরেন্দ্র মোদীকে বিদায় জানানোর জন্য তৈরি হচ্ছে দেশ। আগামী ৪ জুন ইন্ডিয়া জোট সরকার তৈরি করবে।
সেই সঙ্গেই তিনি দাবি করেন এবার ক্ষমতায় এলেই বিজেপি সংবিধান বদলে দেবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, অনেক গ্যারান্টির মধ্য়ে একটা হল গরীবদের জন্য ১০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল। দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছেন এমন পরিবারের প্রত্যেকের মাথাপিছু এটা বরাদ্দ করা হবে।
এদিকে কে কতটা জিনিস বিনামূল্যে দেশবাসীর হাতে তুলে দিতে পারেন তার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও চলছে দড়ি টানাটানি। বিজেপি জানিয়েছে আগামী দিনে তারা বাংলায় ক্ষমতায় এলে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও বাড়িয়ে দেবে।
এদিকে কংগ্রেসের ইস্তেহারের একাধিক পয়েন্টের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে গরীব পরিবারের মহিলাদের বছরে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
এনিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, কংগ্রেস কি জানে যে প্রতিশ্রুতি তারা দিচ্ছেন তার দাম কী হতে পারে? তারা কি কোনও দিন হিসেব করে দেখেছে যে এই খটাখট স্কিমের জন্য তাদের কত টাকা খরচ করতে হবে? তারা কি এই টাকা তোলার জন্য কর বাড়িয়ে দেবে নাকি ধার নেওয়া শুরু করবে?
তাঁর কথায় রাহুল গান্ধী এই সব খটাখট স্কিম চালু করার জন্য় আর কতগুলি স্কিমকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন?
বাস্তবিকই এই প্রতিশ্রুতির বন্যার জেরে কার্যত বিভ্রান্ত সাধারণ ভোটাররা। অনেকেই বুঝতে পারছেন না এই বিপুল সংখ্যক টাকা কোথা থেকে আসবে?
এরপর আবার গরীবদের জন্য ১০ কেজি ফ্রি রেশনের কথা জানিয়েছে প্রতি মাসে।