আজ ষষ্ঠ দফার ভোটে বাংলার আট আসনে নির্বাচন চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ঘাটাল। এরই মাঝে ঘাটাল লোকসভা আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বিস্ফোরক হলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। আজ তিনি সকাল সকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি। কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু'জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে দায়িত্ব নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে।' (আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে বাংলায় নির্বাচন ৮ আসনে, একুশে নিরিখে আসন ধরে ধরে কোথায় এগিয়ে BJP, TMC?)
আরও পড়ুন: ভোট ষষ্ঠীর ৫৮ আসনে গতবার কটিতে জিতেছিল BJP? আজকের দফায় বিরোধীরা কোথায় এগিয়ে?
এরপর হিরণ বলেন, 'আজ সকাল থেকে আর্ধেক জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই।'
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে রাতভর ঝামেলা, দাবি অভিজিতের, ভোটের সকালে শুনলেন ‘চাকরি চোর’ কটাক্ষ
ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি গতরাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দল গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা। তাঁরা চাঁদে আছে না, মঙ্গলে আছে, সেটা এখনও বুঝলাম না। কোনও কিউআরটি টিমের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তাদের ফোন করলে একটাই কথা বলছে, আমরা দেখছি। বিজেপির ছেলেরা সারা রাত মার খাচ্ছে। ১৪৪ ধারার পরে পিকনিক চলছে। এখানে ন্যাকা ন্যাকা কথা বলে গণতন্ত্র বাঁচানো যাবে না।'