লোকসভা নির্বাচন এখন চলছে গোটা দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই দু’দফার নির্বাচন হয়েছে বাংলা–সহ অন্যান্য রাজ্যে। তৃতীয় দফার নির্বাচন আগামী ৭ মে। তার আগেই খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। তাতে বেশ পড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে আজ, শুক্রবার অডিয়ো বার্তা দিয়ে ফোঁস করলেন বোস। এই আবহে রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল আজ কোচি গিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অডিয়ো বার্তায় রাজভবনের কর্মীদের সর্তক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একটি রাজনৈতিক দল এই গোটা পরিকল্পনা করেছে বলে তাঁর দাবি। যদিও নাম করেননি তিনি।
এদিকে রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশে অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল দাবি করেছেন, ‘এটা স্রেফ নির্বাচনী কৌশল। লোকসভা নির্বাচনের সময় আমাকে অপদস্থ করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। বানানো বিষয়ের সামনে আমি কখনওই মাথানত করব না। আমাকে কলঙ্কিত করে কেউ যদি নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চান, ভগবান তাঁর মঙ্গল করুন। কিন্তু এই বাংলায় সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াইকে কেউ আটকাতে পারবে না। গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাকে অপদস্থ করতে রাজনৈতিক কারণে রাজভবনে আরও একজনকে ঢোকানো হয়েছে।’ রাজ্যপাল এই অডিয়ো বার্তা দিলেও বিতর্ক থামছে না। কেন তিনি এমন সময় কোচি গেলেন? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: এবার সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দিল বিক্ষুব্ধরা, চাপে চুপ বিজেপি নেতৃত্ব
অন্যদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাস্তায় নামছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠন। ‘ধিক্কার মিছিল’ করবেন তাঁরা। নারীর সম্ভ্রম আজ লুণ্ঠিত বলে সোচ্চার হবেন তারা। এই আবহে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কোচির উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যপাল। তবে এই বিষয়ে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। তবে অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, ‘এই লড়াই, আমি লড়ব। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে এভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামানো যাবে না। যেহেতু রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সরব হয়েছি। তাই পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাজভবনের ওসির ঘরে হাজির হন এক মহিলা। তিনি রাজভবনের কর্মী। রাজভবনের ওসির কাছে খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানান তিনি। তখন ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। থানায় ওই মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। তার পরই রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। রাজভবনে যে পিসরুম খোলা হয়েছে, সেখানের পিবিএক্স–এ ওই মহিলা কাজ করেন। গত ১৯ তারিখ পিসরুম পরিদর্শনে করার সময় রাজ্যপালের সঙ্গে মহিলার আলাপ হয়। তারপর থেকে রাজ্যপাল তাঁকে দেখতে থাকেন। কু–ইঙ্গিতও করেন বলে অভিযোগ। আর বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মহিলাকে নিজের চেম্বারে ডেকে রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ।