দুজনেই আইনজীবী। প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর বসুকেই এবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে লড়ার সুযোগ দিয়েছে বিজেপি। আর একসময়ে যাঁরা ছিলেন পরিবারের অন্দরে তাঁরাই এবার ভোটের লড়াইতে পরস্পরের মুখোমুখি।
দুজনের মধ্যে বাকযুদ্ধও চলছে পুরোদমে। শ্রীারামপুরের তিনবারের সাংসদ। প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্করের সঙ্গে তাঁর লড়াই। তবে কবীরশঙ্করের সঙ্গে লড়াইতে নেমে কি অস্বস্তি বাড়ছে কল্য়াণের?
কল্য়াণের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কবীর শঙ্করের। ২০১৭ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা চলছে শ্রীরামপুরে। তার জবাবও দিয়েছেন কবীর। তিনি জানিয়েছেন, সকলের পাস্ট থাকে। আবার সকলের প্রেজেন্টও থাকে। আর কল্যাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনজীবী হিসাবে সম্মান করি। কিন্তু যে দলের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি রয়েছেন সেই দল দুর্নীতিতে ডুবে আছে। আজ তাদের এই বাংলায় মুখ রাখার জায়গা নেই। …চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।
সোমবার দোলে জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন কল্যাণ। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গতবার হ্য়াটট্রিক করেছি। আর এবার বাউন্ডারি হাঁকাব। বিরোধীরা কোনও ফ্য়াক্টরই হবে না। তবে এর পালটা দিতে ভোলেননি কবীরশঙ্কর। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, উনি বোল্ড হবেন। ৪ জুন ব্য়াগপত্র গুছিয়ে ওঁকে চলে যেতে হবে। প্রসঙ্গত তিনি আসলে ভোটের ফলাফলের দিনের কথা জানাতে চান।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কবীরশঙ্কর ভোটে লড়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। শেষ পর্যন্ত তিনি সুদীপ্ত রায়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। আর এবার একেবারে প্রাক্তন শ্বশুরের বিরুদ্ধে তাঁকে লড়তে পাঠিয়েছে বিজেপি। তবে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দেখা যাচ্ছিল কবীরশঙ্করকে। বিজেপির লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা করছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাও পান তিনি। তবে এবার লড়াই একেবার জোরকদমে।
এককথায় লড়াই মানে একেবারে মর্যাদার লড়াই। দীর্ঘদিনের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে তাঁর জুড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না। একেবারে জোরালো আক্রমণ করেন তিনি। আর সেই কল্যাণকে জব্দ করতে এবার তাঁর বিরুদ্ধেই প্রতিপক্ষ হিসাবে পাঠানে হয়েছে কবীরশঙ্করকে।