দেশ জুড়ে কর্মসংস্থান নিয়ে বড় কথা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গেই বিরোধীদেরও একহাত নেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বিরোধীরা পরিবারবাদ নিয়ে এত ব্যস্ত যে তারা দেশের যুব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা তারা বুঝতে পারছেন না।
এনডিটিভির এডিটর ইন চিফ সঞ্জয় পুগালিয়ার সঙ্গে একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। এদিকে বিরোধীরা বার বারই অভিযোগ করেন যে দেশের বেকারত্ব রোধ করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও নেই।
সেই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, এই সরকারের আমলে কর্মসংস্থানের নানা পথে খুলে যাচ্ছে। বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরি প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, প্রথমে একটা বিষয় জানতে হবে যে পর্যাপ্ত লোকজন ছাড়া কাজ করা যায় না। শুধু টাকা খরচ করলেই রাস্তা তৈরি হয় না বা বৈদ্যুতিকরণের কাজ করা যায় না। রেলপথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ করা যায় না। তার জন্য় পর্যাপ্ত লোকজনের খুব দরকার। তার জেরেই কর্মসংস্থান তৈরি হয়। বিরোধীরা বেকারত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন তুলছেন তা নিয়ে কোনও ইস্যু বা সত্যি ঘটনা কিছু দেখছি না।
মোদী বলেন, আমার মনে হচ্ছে এই পরিবারবাদ পার্টি এই পরিবর্তনটা বুঝতে পারছেন না। যে পরিবর্তনটা যুবকদের মধ্য়ে হচ্ছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। ২০১৪ সালের আগে মাত্র কয়েকটা স্টার্ট আপ সংস্থা ছিল। আর এখন ১.২৫ লাখ এই ধরনের কোম্পানি রয়েছে। একটি স্টার্ট আপে একাধিক উজ্জ্বল যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অন্তত ১১০ ইউনিকর্ন রয়েছে। তার মানে প্রায় ৮ লাখ টাকার ব্যবসা। আর এই কর্মসংস্থানটি ২০-২৫ বছর বয়সিদের মধ্য়ে হয়েছে। তারা আমাদেরই ছেলে- মেয়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০-২২ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা পথ দেখাবে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে ভারতের ছেলে মেয়েরা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গায় যাবে। তিনি বলেন, গ্রিন জবও তৈরি হচ্ছে। বিমান পরিবহণ সেক্টরের দিকে তাকিয়ে দেখুন। অন্তত ৭০টি বিমানবন্দর ছিল। সেটাই এখন ১৫০ হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে সব মিলিয়ে দেশে ৬০০-৭০০ বিমান রয়েছে। আরও ১০০০ প্লেনের জন্য অর্ডার করা হচ্ছে। আপনি ভাবতে পারেন কত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে? আসলে কিছু মানুষ আছেন যারা এখনও পর্যন্ত সেই ৩০ বছর আগের বিষয়গুলি বলে যাচ্ছেন। একই কথা তাঁরা বলে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৬-৭ বছরে প্রায় ৬ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে ভারতে।