একদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআইতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন যে এবার বাংলায় বিরাট ভালো ফল করবে বিজেপি। তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। তবে তৃণমূল এবার পালটা দাবি করতে শুরু করে দিল। তৃণমূলের তরফ থেকে একদিকে যেমন আসন সংখ্য়া নিয়ে বিরাট দাবি করা হয়েছে তেমনি আয়কর হানা নিয়েও বিরাট দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বলা ভালো আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
রাজ্যসভার এমপি সাকেত গোখেল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফে একটা বড় বিবৃতি।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় ৩৩টি আসনে এখনও পর্যন্ত ভোট হয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল ২৩টি আসনে ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছে। বিজেপি এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষ দিচ্ছে। কিন্তু ওরা জানে যে ৪ জুন কী হতে চলেছে। সেই সঙ্গেই সাকেল গোখেল অভিষেকের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, বিজেপি আয়কর দফতরকে জানিয়েছে অন্তত ৫টা জায়গায় হানা দিতে। ৩১শে মে ও ১লা জুন সেই হানা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ৪ জুন বাংলা জিতবে আর বিজেপির জমিদাররা ধুয়ে মুছে যাবে। লিখেছেন সাকেত গোখেল।
কিন্তু এবার প্রশ্ন একেবারে দিন উল্লেখ করে দিয়েছে তৃণমূল। ৩১শে মে ও ১লা জুন। অর্থাৎ ভোট হবে ২রা জুন। শেষ দফার ভোট। তার মধ্য়ে সন্দেশখালি, উত্তর- দক্ষিণ কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনের ভোটের কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোথায় এই আইটি হানা হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অন্দরেও এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কিন্তু এবার প্রশ্ন কেন আয়কর হানার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? কোথাও কোনও অসংগতি না থাকলে তো ভয় পাওয়ার কথা নয়। তাছাড়া আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তো প্রয়োজনে হানা দিতেই পারেন। হুগলিতেও ভোটের আগে একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দফতরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখনও দাবি করা হয়েছিল বিজেপির প্রার্থীর নির্দেশেই এই আয়কর হানা হচ্ছে। এবার আয়কর হানা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল?
এদিকে এর আগেও তৃণমূলের একাধিক নেতার বাড়িতে ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়়িতে হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে এবার কি ফের হানা দেবে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা? তৃণমূল কি এবার ভোটের আগে এই আয়কর হানার ভয় পাচ্ছে?