ভোট ষষ্ঠী শেষ। এবার সামনেই ভোট সপ্তমী। এদিকে কে কত আসন পেতে পারে তা নিয়ে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে। কার্যত নানা মুণির নানা মত। তবে একদিকে যেমন আসন বৃদ্ধি নিয়ে বিরাট আশার কথা শোনাচ্ছে বিজেপি। তেমনি অন্তত একটি হলেও আসন বাড়তে পারে তৃণমূলের, এমনটা বলছেন তৃণমূলের একাংশ।
তবে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ঠিক কী বললেন?
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, পিকের কথা ভুলে যান। আমার রাজ্য বাংলায় কী হবে সেটা জেনে নিন। ২০১৯ সালে টিএমসি পেয়েছিল ২২টি আর বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। এবার ২০২৪ সালে তৃণমূলের ট্যালি শুরু হবে ২৩ থেকে বিজেপির ট্যালি শুরু হবে ১৭র নীচের দিকে। এটা বলা যাবে না যে দুটি পার্টির এই হিসেব কোথায় গিয়ে শেষ হবে। আমি যদি এটা পরিষ্কার ভাবে বলি তাহলে বলতে হবে, তৃণমূলের কমপক্ষে আসন হবে ২৩টি আর বিজেপির সর্বোচ্চ আসন হবে ১৭টি।
এদিকে এখনও এক দফার ভোটের রেজাল্ট বাকি। তার আগে ভোটের ফলাফল নিয়ে জানিয়ে দিলেন দেবাংশু। তবে দেবাংশু যে হিসেব দিয়েছেন তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কষ্ট পাওয়ার নেই বিজেপির। কারণ অনেকের মতে, বিজেপি আদৌ এতগুলি আসন পাবে বলে নিজেরা ধরেছে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এর আগে বাংলায় কত আসন পেতে পারে তৃণমূল তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন,ষষ্ঠ দফার পর্যন্ত ভোট হয়ে গিয়েছে। আর তাতে অভিষেকের হিসেব, তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্য়েই ২৩ আসনে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই মাথা, ঘাড়, কোমর, মাজা, হাত রাজনৈতিকভাবে বিজেপির ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
‘৩৩টি আসনে এখনও পর্যন্ত ভোট হয়েছে। তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ২৩টি আসন পার করে গিয়েছে।’ সুতরাং তৃণমূলের জন্য় অনেকটাই আশার কথা শুনিয়েছিলেন অভিষেক।
‘২০১৯ সালের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসন পেয়েছিল। যদি খুব খারাপ হয়, যদি পৃথিবী রসাতলে যায়, তাহলেও ২৩ হয়। এখনও পর্যন্ত ৯টি আসনে ভোট বাকি আছে। ৩৩টি আসনে ভোট হয়েছে। তার মধ্যেই তৃণমূল ২৩ পার করে গিয়েছে।’ বলেছিলেন অভিষেক।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, এই যে গোটা রাজ্য জুড়ে এত উন্নয়ন হচ্ছে বলে দাবি করছে তৃণমূল, ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, তারপরেও ৪২ এ ৪২ নয় সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে কি দুর্নীতির ঝড় এবার প্রভাব ফেলবে ইভিএমেও?