প্রচার শেষ। আর সেই প্রচারের শেষবেলায় একেবারে বোমা ফাটালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক গঙ্গোপাধ্য়ায়। শেষ বেলার প্রচারে মহেশতলায় ছিলেন অভিষেক। সেখানেই তিনি তোপ দাগেন। মহেশতলায় শেষ বেলার প্রচারে তিনি বলেন, বিসর্জন করতে হবে। খুঁটিপুজো বলব না। খুঁটিপুজো ব্রিগেডে হয়েছিল। উদ্বোধনটা মহেশতলায় করে দিয়ে গেলাম। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী…দশমীর দিন চিচিং ফাঁক, খেলা শেষ। জানিয়েছেন অভিষেক।
সেই সঙ্গেই এদিনের শেষ বেলার প্রচারে অভিষেক বলেন, আমি ভোট চাইতে আসিনি। আমি আমার দাবি আপনাদের কাছে রাখতে এসেছি। আবদার জানাতে এসেছি। মহেশতলা আমার পরিবার। নিজের বাবা মায়ের কাছে কেউ ভোট চায় না। আপনারা কেউ আমার মা, কেউ আমার ভাই, কেউ আমার বোন, কেউ আমার দিদি, কেউ আমার পরিবারের অংশ। আমার সঙ্গে আপনাদের নাড়়ির টান, আত্মিক সম্পর্ক। তিনি বলেন, আমি দাবি রাখতে এসেছি। আগামী দিনে আমি ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি। ১-২-৩ এর মধ্য়ে যেন মহেশতলা থাকে। এটা আপনারা সবাই সুনিশ্চিত করবেন।
এদিকে আগামী দিনে ডায়মন্ডহারবারকে নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে সেটাও এদিন জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভিষেক বলেন, ডায়মন্ডহারবার মডেল আগামীদিনে দেশকে পথ দেখাবে। কারণ উন্নয়নের নিরিখে আমরা ১ নম্বরে। যদি গত ১০ বছরে ৫৫৮০ কোটি টাকার কাজ করি, আগামী ১০ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
সেই সঙ্গেই বাম জমানার সঙ্গে তৃণমূল জমানার তুলনা করেন তিনি। অভিষেক বলেন, এই কেন্দ্রে ৪২ বছর ধরে সিপিএমের সাংসদ ছিলেন। ৪২ বছরের কাজের রিপোর্ট আপনারা আনুন। আমি গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড আনব। বিজেপির প্রার্থীকে বলব গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড আনব। বিজেপির প্রার্থীকে বলব গত ১০ বছরে মোদী ক্ষমতায় রয়েছেন। আপনি ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড আনুন। আমি ১০ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের রিপোর্ট কার্ড আনব। যদি ল্যাজে গোবরে করে মাঠের বাইরে না করতে পারি, আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় নয়। বলেন অভিষেক।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ডায়মন্ডহারবার মডেলের কথা বলা হয়েছে। এমনকী সেই মডেলকে বাংলা জুড়ে করার কথাও বলা হত। তবে এবার প্রচারের শেষ বেলায় সেই মডেলেই নতুন মাত্রা যোগ করলেন অভিষেক।