জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা কুলতলিতে ইভিএম পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে সেক্টর অফিসার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ইভিএম ফেলে দেওয়ার জন্য ৬টি বুথে প্রভাব পড়েছিল বলে জানায় কমিশন। তবে রিজার্ভে থাকা ইভিএম দ্রুত সেই বুথগুলিতে পাঠানো হয় এবং বর্তমানে সেখানে নির্বিঘ্নে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করে কমিশন। (আরও পড়ুন: ১৯-এ BJP'র দখলে থাকা আলিপুরদুয়ার ২১-এ লিড ছিল কার? জানুন বিধানসভা আসন ধরে ধরে)
আরও পড়ুন: অধীর গড় বহরমপুরে একুশে বড় লিড নেয় TMC, দেখুন বিধানসভা আসন ভিত্তিক সমীকরণ
আরও পড়ুন: কোচবিহার লোকসভা আসনে লিডের অঙ্ক বদলেছিল এক উপনির্বাচনে! জমি হারিয়েছিল BJP
উল্লেখ্য, আজ সকালে ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কুলতলিতে। পাশাপাশি সেখানে বিজেপির বুথ এজেন্টকেও তুমুল মারধর করা হয় বলে অভিযোহ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। রেগে গিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম নিয়ে পুকুরেই ফেলে দেন গ্রামবাসীরা। কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে মাঝপথেই পুলিশকে আটকানো হয়। রাস্তার মাঝে গাছের গুঁড়ি ফেলে দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারীর অভিযোগ, বিরোধী এজেন্টদের বসতে দিচ্ছিল না তৃণমূল। এদিকে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। (আরও পড়ুন: ১৯-এ জিতেছিল BJP, ২১-এ জলপাইগুড়িতে খেলা ঘোরায় TMC, কত লিডে ছিল ঘাসফুল শিবির?)
আরও পড়ুন: ১৯-এ রায়গঞ্জে ফুটেছিল পদ্ম, একুশে সাফ হয় 'লিড', একনজরে বিধানসভা ভিত্তিক সমীকরণ
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে ১৯-এর ম্যাজিক একুশেও ধরে রেখেছিল BJP, এই লোকসভা আসনে কত 'লিড' পদ্মের?
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান কমিশনের আধিকারিকরা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কমিশন। পুলিশেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। পুলিশও এই নিয়ে তদন্তে নেমেছে। সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয়। পরে বিকল্প ইভিএম এনে সেখানে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে রাজ্যের বহু জায়গায়। সেখানে ব্যালট বাক্স জলে ফেলা হয়েছিল। এই নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, '৪০ ও ৪১ নম্বর বুথে এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার গ্রামের মহিলারা জমায়েত করেন। তাঁদের দাবি এজেন্টদের বসতে দিতে হবে। কিন্তু শাসকদল বাধা দেয়। এজেন্টদের বসতে দিতে চাইছে না। সেই জন্য সমস্ত মহিলারা একজোট হয়ে ইভিএম জলে ফেলে দেন।'