ভোগান্তির শুরু শনিবার থেকেই। আগামী দু সপ্তাহ ধরে সেই ভোগান্তি চলতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অধিকাংশ বাস মিনিবাস তুলে নেওয়া হতে পারে। যার মাসুল গুনতে হবে সাধারণ যাত্রীদের। তবে বিকল্প সেভাবে কিছু নেই। প্রয়োজনে মেট্রো ধরতে পারেন। কারণ সরকারি বাস যে একধাক্কায় বেড়ে যাবে এমনটা নয়।
এদিকে শনি ও রবিবার অফিস যাত্রীদের ভি়ড় কিছুটা কম থাকে। কিন্তু মূল ভোগান্তিটা শুরু হবে সোমবার থেকে। সূত্রের খবর, শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় লোকসভা ভোট। তার জন্য অনেক বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আসনগুলিতে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে ২৭ ও ২৮ মে থেকে কলকাতা শহর ও শহরতলির বাসের সংখ্য়া এক ধাক্কায় কমে যেতে পারে। কারণ ভোটকর্মীদের নিয়ে যাওয়া, পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্যই যাত্রীবাহী বাস , মিনিবাসকে নেওয়া হচ্ছে। এর জেরে রাস্তায় ভোগান্তিতে পড়তে পারেন সাধারণ যাত্রীরা।
১ লা জুন শেষ পর্বের ভোট। কিন্তু সেদিন অথবা তারপরের দিনই রাস্তায় বাসের সমস্যা মিটে যাবে এমনটা নয়। কারণ ১লা জুন ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেও বাসের প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটগণনার জন্যও ভোটকর্মীদের নিয়ে যেতে হবে। তখনও প্রচুর বাসের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন চলে গেলেও রাস্তায় সব বাস ফেরত আসার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে মোটামুটি ৫ জুন পর্যন্ত সমস্যাটা থেকেই যাবে।
এদিকে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাস রাস্তা থেকে কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী হবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না নিত্যযাত্রীরা। প্রথমত হাওড়া স্টেশনে নামার পরে অনেকেই বাসে করে কর্মস্থলে যান। আবার বালি স্টেশনে নামার পরে বহু অফিস যাত্রী বালিহল্টের কাছে এসে বাসে চেপেই অফিসে যান। সেই বাসগুলিকে একেবারে বাদুরঝোলা ভিড় থাকে। এদিকে বাস তুলে নেওয়া হলে কীভাবে অফিস যাবেন তা নিয়েও প্রশ্ন।
তবে অনেকের মতে, এই কয়েকদিন বড় ভরসা হল মেট্রো। সেক্ষেত্রে বাস কমে গেলে মেট্রোতে ভিড় বাড়তে পারে। এদিকে মেট্রোতে এমনিতে অফিস টাইমে যথেষ্ট ভিড় হয়। তারপর যদি বাস তুলে নেওয়া হয় তাহলে তো ভোগান্তি আরও বাড়বে।
তবে যেহেতু নির্বাচনের জন্য বাস নেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে বাস মালিকরাও এনিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল না বের হওয়া পর্যন্ত এই ভোগান্তিকে মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য উপায় নেই। সেকারণে হাতে সময় নিয়ে না বের হলে সমস্যা বাড়বে।
এদিকে পরিবহণ দফতরও এনিয়ে বড় কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি।