আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার শিকার হল বিজেপি। আর তার জেরে বিড়ম্বনাও বাড়ল। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এখন দেদার প্রচার চলছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে কলকাতা–সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ঝড়বৃষ্টি। আর এতে তৃণমূল কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে সভা করতে পারলেও পারছে না বিজেপি। তাই প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে বাতিল হয়ে গেল জেপি নড্ডার তিনটি জনসভা। বড়বাজার, বারাসত এবং বন্দর এলাকায় তিনটি জনসভা ছিল জগৎপ্রকাশ নড্ডার। আজ বুধবার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও হাবড়ায় নামতে পারেনি নড্ডার হেলিকপ্টার। আর তার জেরে জনসভা বাতিল বলেই জানিয়ে দিলেন বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার।
আজ, বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার তিনটি জনসভা করার কথা ছিল। এই জনসভা করার উদ্দেশ্য ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য। কিন্তু তা হল না। বড়বাজারে সত্যনারায়ণ পার্কে প্রথম সভা করার কথা ছিল। বারাসাতেও নির্বাচনী জনসভা করার কথা ছিল জেপি নড্ডার। এমনকী দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বন্দর এলাকাতেও তিন নম্বর সভা করার কথা ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই কালো মেঘে ঢেকে গেল আকাশ। তারপরই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এই আবহাওয়ার ফলে নড্ডার হেলিকপ্টার নামতে পারল না। তাই বাতিল হয়ে যায় এই তিনটি সভাই। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, নড্ডার সভায় ভিড় হচ্ছে না বলেই এখন বৃষ্টিকে ঢাল করে সভা বাতিল করেছে তারা।
আরও পড়ুন: সৌমিত্রের সমর্থনে এলেন না মিঠুন, ভোটার–কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি প্রার্থী
এদিকে আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন রয়েছে। তাই আজ, বুধবার প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। তাই ওই কর্মসূচিতে পৌঁছতে পারলেন না মিঠুন। আর তাই ক্ষমা চাইলেন বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। এসবের আগে হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় সেখানে যাননি নরেন্দ্র মোদী। তাই সেখানে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে সভা শোনা ও দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু জনতা তাতে উৎসাহ হারানোয় চেয়ার ফাঁকাই পড়েছিল। পঞ্চম দফার ভোটের সময় ঝড়বৃষ্টি হলেও মানুষকে রাস্তায় নেমে ভোট দিতে দেখা গিয়েছিল।
বিজেপি নেতা–মন্ত্রীদের বারবার সভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। এমনকী কিছু মানুষ যাঁরা তিন বছর পর বিজেপি নেতাদের দেখতে এসেছিলেন তাঁরা হতাশ হয়ে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তার জেরেই শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি। এই নিম্নচাপ শুক্রবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর উত্তর–পূর্ব অভিমুখে এগোবে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাংলায় এখনও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর।