সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের পর্ব–১ এবং পর্ব–২ সবার সামনে এসেছে। তাতে চরম বেকায়দায় পড়েছে বিজেপি। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এবং ভোট প্রচারে পৃথক মাত্রা যোগ করেছে। যদিও দুটি ভিডিয়োই যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে এই ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী দুটো বেলুন ছিল বিজেপির। একটা সন্দেশখালি, দ্বিতীয়টি এসএসসি। দুটোই ফুটো হয়ে গিয়েছে বলে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের খোঁচা দেন অভিষেক।
এদিকে আজ, সোমবার শুরু হয়ে গিয়েছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। তার আগেই বিজেপি নেতাদের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধুয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যাঁর দোকান নেই এখানে, তিনি কী গ্যারান্টি দেবেন? দোকান তো তিন হাজার কিলোমিটার দূরে। আপনি কোন গ্যারান্টি পূরণ করেছেন? পদ্মফুলের কাছ থেকে টাকা নেবেন আর তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট দেবেন। তবেই এরা শায়েস্তা হবে। এতদিন বঞ্চিত করে রেখেছে আপনাদের। কোথায় ছিল কোভিডের সময় থেকে? আমাকে অনেক ধমকানো–চমকানোর চেষ্টা করেছে। লাভ হয়নি। ঘাসফুলের দল। যত কাটবে, তত বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ‘যদি আদানি এক ব্যাগ টাকা পাঠায় সেটা আমার জন্য যথেষ্ট’, বিস্ফোরক মন্তব্য অধীরের
অন্যদিকে হাওড়া থেকে সন্দেশখালি এবং এসএসসি নিয়ে অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন বাংলায় সভা করতে। আমি ভেবেছিলাম সন্দেশখালি নিয়ে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইবেন। এখন বুঝতে পারছি, এই ঘটনায় শুধু বাংলার বিজেপি নেতারা দায়ী নন, দিল্লির বিজেপি নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে সন্দেশখালির ঘটনা ঘটেছে। ১৫ লক্ষ টাকা পেলেন না কি কেউ? বছরে দু’কোটি চাকরি মানে একটা বুথে দুশো চাকরি। হাওড়ায় একটা ঘটনা দেখান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে আজও সিপিএমের বোমা–বন্দুকের নীচে থাকতে হতো সবাইকে। তৃণমূল পথ দেখিয়েছে। আর হাওড়ার সব থেকে বড় চোরটা এখন বিজেপির প্রার্থী।’
এছাড়া হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করতে আসেন অভিষেক। এখানেই সন্দেশখালি এবং এসএসসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দুটো বেলুন ছিল বিজেপির। একটা সন্দেশখালি, অপরটি এসএসসি। কিছু ভোট পাওয়ার জন্য একটা রাজনৈতিক দল, এতটা নির্লজ্জ, এতটা নিকৃষ্ট, এতটা নিচে নামতে পারে, যে দু’হাজার টাকা দিয়ে সম্মান দিল্লির কাছে বিক্রি করে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চেয়েছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিচ্ছে। বিজেপি আদালতে যাচ্ছে যাতে চাকরি চলে যায়। আমি চাই, যাঁরা সঠিকভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের একজনেরও যেন চাকরি না যায়। সন্দেশখালির বেলুনে স্টিং অপারেশন হয়ে বেলুন ফুস হয়ে গিয়েছে। আর এসএসসির বেলুনে তো আলপিনটা সুপ্রিম কোর্টই ফুটিয়ে দিয়েছে।’