লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এবার বড় অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী। রাত পোহালেই পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ–পর্ব শুরু হয়ে যাবে। সুতরাং এখন টানটান প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। এই আবহে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবের সমর্থনে কেশপুরে জনসভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আজ, রবিবারের জনসভা থেকে দেবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ঘাটালের বিজেপির প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নামও মুখে আনলেন না অভিষেক। তবে সিনেমা জগতে কাজ পাচ্ছেন না বলেই হিরণ রাজনীতিতে এসেছেন বলে কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ রবিবার কেশপুরে নির্বাচনী প্রচার সভায় উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মঞ্চ থেকে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নাম মুখে আনতে অস্বীকার করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘দু’নম্বরি লোকটার নাম নেব না। প্রার্থীর নাম নিলে সভার পরিবেশ খারাপ হবে। আমরা যে ক’টাকে দল থেকে বের করে দিই, সেই আবর্জনাগুলিকে বিজেপি তাদের মাথার উপর তুলে রাখে। কোথায় দীপক অধিকারী (দেব) আর কোথায় ওই দু’নম্বরি প্রার্থী। দীপক অধিকারী বছরে তিনটে করে সিনেমা করে। ওর রাজনীতি করার দরকার পড়ে না। আর যে বিজেপির প্রার্থী হয়েছে, চার বছরে একটাও সিনেমা পায়নি। কাজ নেই তো! তাই পয়সা কামাতে এসেছে।’
আরও পড়ুন: হাওড়ায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়ে ভোট হতে চলেছে! বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী রথীনের
এদিকে আগেও দেবের সমর্থনে রোড–শো করতে এসে হিরণকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। তিনি বলেছিলেন, হিরণ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়ে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এসে দেখাও করেন। অভিষেক জানিয়েছিলেন, সেই সাক্ষাতের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। হিরণকে সৌজন্যের বার্তা দিয়ে দেব বলেন, ‘ওর সিনেমার কেরিয়ার একেবারেই শেষ। এখন যতটা যা টিকে আছে পুরোটাই হেডলাইন রাজনীতি করে। আমি ১০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এটাকে সৌজন্যের রাজনীতি বলে।’ আর অভিষেকের বক্তব্য, ‘এই দু’নম্বরি ভুঁইফোঁড় ফেরেব্বাজ চিটিংবাজগুলিকে প্যাকেট করে গ্যারেজ করতে হবে।’
অন্যদিকে কেশপুর বিধানসভার বাসিন্দাদের জন্য অভিষেক ঘোষণা করেছেন বিশেষ উপহারও। এমনকী এই সভা থেকে নানা ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক। কেশপুর এলাকায় অনেক পুরনো সিপিএম কর্মীরা ‘জার্সি বদল’ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে বলে দাবি করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘এক লক্ষের ব্যবধানে দেবকে জেতালে ছ’মাসের মধ্যে বাড়ি তো হবেই, তার সঙ্গে কেশপুর বিধানসভায় ৫০ কিমি গ্রামীণ রাস্তা আমি এক মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। কেশপুরে আবার সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির জার্সি পরে সিপিএমের সময়ের কালো দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে এই এলাকায়। আমি বলছি, সাহস ভাল। দুঃসাহস ভাল নয়। ৪ তারিখের পর আপনারা যে ভাষায় বোঝেন সেই ভাষায় জবাব দেব।’