আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট শুরু হয়েছে। ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে ২ লক্ষ টাকা নগদ, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র –সহ আটক করা হয়েছে বিজেপি নেতা স্বরাজ ঘোষের গাড়ি। ভোটের আগের রাতে হুগলির দাদপুর থানার হারিট এলাকায় নাকা চেকিং করার সময় আটক করা হয় বিজেপি নেতার গাড়ি। তল্লাশিতে নগদ ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায় তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয় ৩৫ লক্ষ টাকা। ওই বিজেপি নেতা মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঘনিষ্ঠ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র দুটির লাইসেন্স ছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে গেলে জেলাশাসক বা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি লাগে। সেটা তাঁর কাছে ছিল না। কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েন স্বরাজ ঘোষ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সেই বিজেপি নেতার কাছ থেকে নগদ টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল হুগলিতে। কোথায়, কী কারণে নগদ টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেননি এই বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: ‘আমি বাংলার সমৃদ্ধি উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমৃত্যু বদ্ধপরিকর’, এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট মমতার
আজ, সোমবার সকালে ভোট দিতে এসে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, আইপ্যাকের সদস্যরা টাকার ব্যাগ নিয়ে এখানে এসেছেন। সেই বিষয়টি তিনি নালিশ করেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। অথচ তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে আজ ভোট চলছে। সেখানেই টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধরা পড়লেন বিজেপি নেতা। যদিও এই নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কিছু বলতে শোনা যায়নি। আবার রবিবার মাঝরাতে খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার সাহাচক এলাকায় একটি হোটেলে হানা দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সেখানের ৩০৫ নম্বর ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। নগদ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ওই বিজেপি নেতার নাম সমিত মণ্ডল। তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঘনিষ্ঠ।
তবে হুগলির ঘটনা নিয়ে হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, দাদপুর থানা এবং নির্বাচন কমিশনের এসএসটি টিম নাকা তল্লাশি চালানোর সময় স্বরাজ ঘোষের গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যার কোনও সদুত্তর মেলেনি। আবার পুরুলিয়ায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির মোটরবাইক থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। একের পর এক বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।