আজ, শনিবার দেশে চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। উৎসবের মেজাজে ভোট চলছে সর্বত্র। বাংলায় যেমন ভোট চলছে তেমন অন্য রাজ্যে ভোট চলছে। আজ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, মেদিনীপুর, তমলুক, ঘাটাল এবং বিষ্ণুপুরে ভোট চলছে। এই আবহে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ তুলে ধরনায় বসলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি আজ রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন এবং ঘেরাও হন। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার আপ্তসহায়কের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি হয়। আর তারই প্রতিবাদে সেখানে গিয়ে ধরনায় বসেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির আসনে বসেছিলেন। সেখানে থেকে সাংসদের আসনে বসবেন বলেই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু এখন তিনি পথেই বসলেন। যদিও তাঁর অভিযোগ, ময়না পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরু ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকে তাঁর দুটো ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফোন করা হয়েছে বারবার। কিন্তু ফোন তোলেননি গৌতম গুরু। গৌতমের স্ত্রীর কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়েই তাঁর বাড়িতে যান তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তিনি গৌতমের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসেছেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে কি করেছেন? বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
শনিবার ভোটের সকাল থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও হলদিয়া, কখনও নন্দকুমার গাড়ি নিয়ে ছুটে বেরিয়েছেন। আর তার মধ্যেই পড়েছেন বিক্ষোভের মুখে। আর তখনই ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার আপ্ত সহায়কের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশির খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। গৌতম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। আর এদিনই বেলায় পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এইসব শুনে তিনি সেখানে যান। আর কোনও উপায় না দেখে ধরনায় বসে পড়েন। বিজেপি প্রার্থীর এই ধরনায় রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ময়নার এই এলাকাটি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। পুলিশের কাছে তিনি তল্লাশির অর্ডার দেখতে চান। পুলিশ তা দেখায়নি বলে অভিযোগ। তখনই পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে বিজেপি বিধায়কের আপ্ত সহায়কের বাড়ির দুয়ারেই ধরনায় বসেন বিজেপি প্রার্থী। ভোটের মরশুমে এভাবে বিজেপি বিধায়কের আপ্ত সহায়কের জন্য ধরনায় বসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই পুলিশের তল্লাশির বিষয়ে নির্বচন কমিশনেও অভিযোগ জানাচ্ছেন অভিজিৎবাবু বলে খবর। গৌতমের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন তাঁকে অপহরণ করেছে।