আজ, রবিবার প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। কারণ রাত পোহালেই চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ–পর্ব শুরু হবে। এই নির্বাচনে একদিকে প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে প্রচার করছেন বাংলায়। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারে। এই আবহে হুগলিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আবার পড়ল নিখোঁজ পোস্টার। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এমন পোস্টার পড়ায় অস্বস্তি পড়েছে বিজেপি।
এই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর হয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন আগেই প্রচার করে গিয়েছেন। সেখানে আজ, রবিবার চুঁচুড়া স্টেশন রোড, ফার্ম সাইড রোড–সহ নানা জায়গায় হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছে। এখানে পঞ্চম দফায় অর্থাৎ ২০ মে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। বিজেপি এবারও এখানে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে। বিপরীতে রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাই জোরকদমে প্রচার চলছে। তার মধ্যেই লকেটের নামে পড়ল নিখোঁজ পোস্টার।
আরও পড়ুন: ‘বক্সিদা বলছি, ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে’, নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করলেন প্রবীণ সুব্রত
এদিকে এই পোস্টার তৃণমূল কংগ্রেস সাঁটিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। যা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের একাংশ এই পোস্টার সাঁটিয়েছে। কারণ গত পাঁচ বছরে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে দেখা যায়নি। এই কেন্দ্রে বিরাট কোনও কাজ করেছেন তাও নয়। লকেটকে নিয়ে জেলা পার্টির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই আগেও এমন পোস্টার দেখা গিয়েছিল। যদিও বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার এই নিখোঁজ পোস্টার নিয়ে বলেন, ‘যারা অন্ধ তারা দেখতে পায় না।’
ঠিক কী লেখা আছে পোস্টারে? রবিবার যে পোস্টারে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র ছয়লাপ হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, ‘লকেট মানে পালাই।’ অর্থাৎ লকেট চট্টোপাধ্যায় সবসময় পালিয়ে বেড়ান। আগেও হুগলির নানা জায়গায় লকেটের নামে পোস্টার দেখা গিয়েছে। এবার সরাসরি নির্বাচনের মরশুমে দেখা গেল। যার ফলে ভোটবাক্সে প্রভাব পড়তে পারে। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর সংসদীয় এলাকায় পাওয়াই যায় না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। লকেটের প্রার্থী হওয়া নিয়েও দলের অন্দরে বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছিল। আর শনিবারই বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপির দুই পদাধিকারী দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এই বিষয়ে চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের খোঁচা, ‘লকেটকে দেখা যায় তো, ভোট এলে যে দেখা যায়।’