স্ট্রং রুমের সুরক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে চিঠি লিখে আগেই রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু তাতেও নিজেকে শান্ত রাখতে না পেরে রাতে হঠাৎ করে সেই স্ট্রং রুম দেখতে হাজির হলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতেই হাজির হয়েছেন বলে দাবি লকেটের। বিদায়ী সাংসদের উপস্থিতির খবর পেতেই ভিড় জমান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। লকেট বাইরে বেরিয়ে আসতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনকে জানাক বিজেপি প্রার্থী। এভাবে স্ট্রং রুমে ঢোকা যায় না। স্ট্রং রুমের পিছনের দিক থেকে ভিতরে ঢোকেন লকেট। তাঁকে তখন ঘিরে গো –ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
এদিকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুম করা হয়েছে হুগলি এইচআইটি কলেজে। যেখানে ইভিএম রাখা আছে। সিসি ক্যামেরায় মোড়া স্ট্রং রুমের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের বলয়। এখনও নিরাপত্তার বেষ্টনীতে থাকা ইভিএম বদল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপি প্রার্থী। তাই দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাতেই হঠাৎ লকেট হাজির হন। এইচআইটি কলেজের পাশে রয়েছে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সেই কলেজ দিয়ে ঢুকে অন্ধকার পথে পুকুরপার দিয়ে স্টংরুমের পিছন দিকে পৌঁছে যান লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় খামতি আছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে তিনি জানাবেন।
অন্যদিকে সেখান থেকে বেরিয়ে এইচআইটি কলেজের ভিতরে ঢোকেন লকেট। খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশের অফিসাররা সেখানে পৌঁছন। লকেট চট্টোপাধ্যায় পুলিশকে জানান, স্ট্রং রুমের সামনে পাহারা রয়েছে। কিন্তু পিছন দিকটা সুরক্ষিত নয়। পিছন দিকে সিসি ক্যামেরাও নেই। তাই কে আসছে যাচ্ছে সেটা দেখা যাবে না। লকেট দাবি করেন, ‘স্টংরুমের পিছন দিকেও সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। আজ সকালেই হুগলি জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে চিঠিও দিয়ে আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপরই স্ট্রং রুমের সামনে উত্তেজনা দেখা দেয়। লকেটকে ঘিরে গো– ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলে বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: স্ট্রংরুমে ইভিএম বদলের অভিযোগ সৌমিত্রের, হার নিশ্চিত পাল্টা দিলেন সুজাতা
তবে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগিয়ে আসে পুলিশ। এই বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘লকেট হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন। তাই এই সমস্ত নাটক করছেন। তিনি ভাবছেন নির্বাচনে যেভাবে নাটক করেছেন, স্ট্রং রুমে এসে নির্বাচনের বৈতরণী পাড় করতে নাটক করবেন। উনি একটা গিমিক তৈরি করতে চাইছেন। কিন্তু এখানে সেটা চলবে না। দলবল নিয়ে ভিতরে ঢুকছেন। স্ট্রং রুম না বুথ সেটার বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। আমরা তার প্রতিবাদ করছি।’