বাঁকুড়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ইভিএম বদলের অভিযোগ তুললেন বঙ্গ–বিজেপির সহ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আইসির বিরুদ্ধে স্ট্রং রুমের সিসিটিভি খুলে ইভিএম বদলের অভিযোগ করেছেন তিনি। আর তারপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছেন অমিত মালব্য। তবে গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। যদিও নিজে ভোট দেননি বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে আটকে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছিল। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই এমন পদক্ষেপ। আর তিনিও ইভিএম বদলের অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে এবার সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ স্ট্রং রুমের সিসি ক্যমেরা বদলে ইভিএম বদল করার ছক কষেছিল। আর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কাজ করতে সাহায্য করেছিল স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ, সোমবার দুপুরে বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে উপস্থিত হয়ে বিজেপি প্রার্থী এই অভিযোগ তুলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি মোটা টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কিনে নিয়েছে বলে অভিযোগ সৌমিত্রর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, তছনছ গোটা পদ্মাপার
অন্যদিকে অমিত মালব্য আজ এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, স্ট্রং রুমের ভিতরে আছেন পুলিশ অফিসাররা। আর একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের স্কুটিতে রাখা অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা। ওই যুবককে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি ওই ক্যামেরা খুলছেন। যদিও এই ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই বিষয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘শুধুমাত্র পুলিশ অফিসাররা কেন ওখানে যাবেন। যেখানে ইভিএমে তালা মারা রয়েছে সেখানে কেন যাবেন আইসিরা? নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার দাবি, এই ঘটনার বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
এছাড়া মোবাইলে তোলা একটি ফুটেজ দেখিয়ে সৌমিত্র দাবি করেন, স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের সঙ্গে মোটা টাকায় রফা হয়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের। সৌমিত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, ‘রবিবার নিজে স্ট্রং রুম দেখে এসেও তো এমন অভিযোগ করেননি সৌমিত্র খাঁ। সোমবার যখন নিজের হার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন, তখনই হতাশায় ভুগে হারের দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’ আর কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। কাঁথি কলেজে স্ট্রংরুমের ভিতর বিজেপির এজেন্টকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগ আমরা করেছি। আমাদের লোকজন হাতেনাতে ধরেছে। সেটা ঢাকতে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।’