হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপরই সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। সুতরাং আগামী ১ জুন ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে সব প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এই আবহেও আয়কর দফতর, ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরাম নেই। রাজ্যে তাঁরা প্রতি মুহূর্তে সক্রিয় হয়ে উঠছে। এখন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবার সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই। লোকসভা নির্বাচন পর্বের মধ্যেই এবার ডাক পড়ল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতার। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা বিধায়কের স্বামীকে আবার তলব করেছে সিবিআই।
রাজ্যে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী প্রচারে রয়েছেন। একের পর এক হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন তিনি। তারপরই দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের দফতরে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই তলবের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ, বুধবার সিবিআইয়ের অফিসে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। যদিও এই তলবের বিষয়ে দেবরাজ চক্রবর্তীর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি–বোমা, সপ্তম দফার আগেই তপ্ত জয়নগর
এই দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। আগেও একাধিকবার দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। তাতে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এমন তলব কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লোকসভা নির্বাচন পর্বের মধ্যেই ২৪ ঘণ্টার নোটিশে তলব করা হয়েছে দেবরাজকে। এখনও সপ্তম দফার নির্বাচন বাকি। তার জন্য নির্বাচনী কাজকর্মে ব্যস্ত আছেন দেবরাজ বলে খবর। তাই আজ, বুধবার সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দেবেন কি না দেবরাজ সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
শিক্ষার দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্ত বছরের পর বছর চলছে। যার কোনও ফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। দু’একজন মন্ত্রী গ্রেফতার হলেও তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আর বহুদিন ধরেই এই যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সিবিআইয়ের নজরে আছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দেবরাজের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। একটি বাড়ির দোতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্টুডিয়ো আছে। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে সিবিআই অফিসাররা কি তথ্য–নথি পেয়েছিলেন সেটা জানা যায়নি। তবে সেইসব নথির ভিত্তিতে এই তলব বলে মনে করা হচ্ছে।