আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট শুরু হয়েছে। ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে জাঙ্গিপাড়ার এক বুথে কাজ করতে আসা এক আইটিবিপি’র এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় পরিবার ও প্রতিবেশীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে। জওয়ানকে গাছে বেঁধে রেখে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় জওয়ানের বিরুদ্ধে উঠল গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। ওই জওয়ানকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস।
এই আবহে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ এসে জওয়ানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পর পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এই শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে আবার শ্লীলতাহানি। যে রক্ষক সেই ভক্ষক।’ উলুবেড়িয়াতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। প্রাতঃভ্রমণে বেরনো এক যুবতীকে জোর করে চুম্বন করেন এক জওয়ান। তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরব হতেই আজ তাঁকে ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: নগদ অর্থ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে, ভোটপঞ্চমীতে হুগলিতে আলোড়ন
এদিকে ভোটের ডিউটি করতে জাঙ্গিপাড়ায় আসেন এক আইটিবিপি জওয়ান। রবিবার রাতে স্থানীয় এক গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে ঢোকেন তিনি। অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে তার পর ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। গৃহবধূ প্রাণপণ চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জড়ো হয়ে যান। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, প্রতিবেশীরাও ছুটে সেখানে আসেন। আর আইটিবিপি জওয়ানকে ঘিরে ধরে ফেলেন সকলে। তাঁকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে উলুবেড়িয়ার ঘটনায় সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। আর জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত বলেন, ‘অত্যন্ত ঘৃণ্য দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। রবিবার রাতে উলুবেড়িয়া এবং জাঙ্গিপাড়ায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করছে। কী চলছে এই বাংলায়? এই যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বাংলায় ৭০০, ৮০০ কোম্পানি তারা বুথের নিরাপত্তা না দিয়ে শীতলকুচি মডেল অনুসরণ করছে। নিরীহ মানুষদের গুলি করে মেরে দেবে, না হলে বাংলার মা–বোনেদের ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি করছে এবং ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য জমা করছি। বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লেঠেন হিসাবে ব্যবহার করছে।’