রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের গণনা এবং ফলপ্রকাশ হবে। সুতরাং বাংলা তথা দেশজুড়ে টানটান টেনশন রয়েছে সকলের মধ্যে। এই আবহে আরও বেশ কিছুদিন বাংলায় মোতায়েন রাখা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলায় রেখে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। মঙ্গলবার ভোটগণনা হয়ে গেলেও ১৯ জুন পর্যন্ত ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হচ্ছে বাংলায়। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাংলায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার সেটার সময়সীমা আরও বাড়িয়ে নির্বাচন কমিশন আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত করল।
এদিকে ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যে আরও ১৫ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেটা সারা রাজ্যেই ছড়িয়ে থাকবে। এবার গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল বাংলায়। এমনকী সেটা ভূস্বর্গ কাশ্মীরের থেকেও বেশি। যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তেমন হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভোট পরবর্তী হিংসা যাতে না হয় তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলায় থাকবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচন এখন অতীত, গরমে জলকেলিতে মাতলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায়
অন্যদিকে এই ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ১১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১১৮ কোম্পানি বিএসএফ, ১৭ কোম্পানি সিআইএসএফ, ৩৬ কোম্পানি আইটিবিপি এবং ৬০ কোম্পানি এসএসবি জওয়ান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একুশের নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী তার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। যদিও সেই মামলার এখন কি অবস্থা তা অনেকেরই অজানা। তবে এই হিংসার অভিযোগ যাতে আর না ওঠে তার জন্যই বাড়তি সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে বাংলায়। এবারের লোকসভা নির্বাচন এবং তার ফলাফল প্রকাশের পরও সতর্ক থাকছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার প্রাক্কালে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছিল। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। এবার ভোটগণনার সময় প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর তৃতীয় স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসাররা। শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রাখা হবে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটগণনার পর বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সময়সীমা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।