আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হচ্ছে গোটা দেশে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। এই আবহেও কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ ভোট শেষ হলে শুরু হয়ে যাবে বুথফেরত সমীক্ষা। এই সমীক্ষা প্রত্যেক সংবাদমাধ্যমেই হবে। তবে এই বুথফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোলে অংশ নেবে না বলে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তকেই খোঁচা দিয়েছেন অমিত শাহ। হেরে যাবে বুঝতে পেরেই নাকি কংগ্রেস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি অমিত শাহের। বিরোধী এই পরাজয়ের মুখোমুখি হতে বলেছেন অমিত শাহ। পালিয়ে না গিয়ে।
এদিকে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে বলে চারিদিকে রব উঠেছে। বিরোধী নেতা–নেত্রী থেকে শুরু করে যাঁরা সমীক্ষা করেন তাঁরাও এই দাবি করছেন। তাহলে কংগ্রেসের এমন সিদ্ধান্ত কেন? উঠছে প্রশ্ন। কংগ্রেস অবশ্য ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের উপরই বেশি জোর দিচ্ছে। সেখানে আলোচনা করা বেশি জরুরি। তাই এই টিভি চ্যানেলে গিয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষায় যোগ দিতে চাইছেন না কংগ্রেসের নেতারা। তাঁরা আগামী ৪ জুনের পর সব কথা বলবেন। যদিও অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাব নিয়ে চলছে। গোটা প্রচার–পর্বে তারা দাবি করল, এবার তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তবে এখন বুঝেছেন আবার একটা পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তাই বয়কট করেছে এক্সিট পোল।’
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে বের হতেই শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান, অস্বস্তিতে পড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী
অন্যদিকে দেশের তামাম বিরোধীরা এক জায়গায় হয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। আজ, ভোট দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ৪ তারিখ ভোটবাক্স খুললেই বুঝতে পারবেন বিজেপির বিদায় দেশ থেকে আসন্ন। কেউ আটকাতে পারবে না।’ যদিও আজ ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। সেটাও জানিয়েছেন অভিষেক। তবে পরে নিশ্চয়ই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে তাঁর দাবি। যদিও কংগ্রেসের উদ্দেশে অমিত শাহের বক্তব্য, ‘আমি কংগ্রেস কার্যকর্তাদের অনুরোধ করতে চাই, অস্ট্রিচের মতো আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে। এতে কারও উপকার হবে না। বীরত্বের সঙ্গে পরাজয়ের মুখোমুখি হোক, ভুল ঠিক করুক এবং এগিয়ে যাক।’
এছাড়া কংগ্রেস ফলাফল প্রকাশের পর জবাব দিতে চায়। তাই এক্সিট পোলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু এটাকেই ঘুরিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘এক্সিট পোল ভোটের পর হবেই। আর কংগ্রেস জানে এই বিপুল পরাজয়ের জবাব দেওয়া কঠিন। রাহুল গান্ধী যখন থেকে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছে তখন থেকে সংবাদমাধ্যম, সংসদ, এজেন্সি—সবার সব প্রশ্ন থেকেই এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাব নিয়ে চলছে কংগ্রেস। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, ৪ জুনের ফলাফলে দেখা যাবে এনডিএ ৪০০ আসনে জয়ী হবে।’