লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে গোটা দেশে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। তাতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার গড়বে বলে দেখানো হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ ইন্ডিয়া জোটের নেতা–নেত্রীরা। বরং গতকাল ভোট মিটতেই ইন্ডিয়া জোটের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ২৯৫টি আসন নিয়ে তাঁরা ক্ষমতায় আসছেন বলে জানিয়ে দেন। এসবের মধ্যেই আজ, রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি মারাত্মক তথ্য পোস্ট করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে। সেই তথ্য তুলে ধরে গণনায় কারচুপির ইঙ্গিত করেছে কংগ্রেস।
তাহলে কি ইভিএমে রিগিং হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই বিষয়ে অজয় মাকেনের পোস্ট সামনে নিয়ে এসেছে। আর তারপরই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অজয় মাকেনের তথ্য অনুযায়ী, ‘এই প্রথম প্রার্থীর গণনা এজেন্টকে এআরও টেবিলে বসতে অনুমতি দেওয়া হবে না।’ এটাই তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ নির্বাচনের ফলাফল যখন গণনা করা হয় তখন প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট সেখানে উপস্থিত থেকে সবটা দেখেন এবং প্রতি রাউন্ড শেষে তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। এবারই প্রথম তা হবে না বলে দাবি কংগ্রেসের।
ঠিক কী লিখেছেন কংগ্রেস নেতা? এবারের লোকসভা নির্বাচন ছিল খুব কঠিন লড়াই। একদিকে বিজেপির তৃতীয়বার ফেরার লড়াই অপরদিকে ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসা নিয়ে লড়াই হয় সব রাজ্যে। অজয় মাকেন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এই প্রথমবার প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টকে এআরও টেবিলে বসতে দেওয়া হবে না। আমি ৯টি লোকসভা এবং একটি বিধানসভা নির্বাচনে অতীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। কিন্তু এটা এই প্রথমবার ঘটতে চলেছে। যদি তা সত্যি হয় তাহলে সেটা হবে ইভিএম রিগিংয়ের চেয়েও বড় অভিযোগ। আমি এটা সব প্রার্থীর জন্য বলছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন দ্রুত বিষয়টি শুধরে নেবে।’
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল কংগ্রেস ৩০টির বেশি আসন পাবে রাজ্যে’, এক্সিট পোল খারিজ করলেন শান্তনু
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার ৪ জুন ফলাফল প্রকাশ হওয়ার দিন। সেদিন প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টকে ‘এআরও টেবিল’–এ বসতে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে দাবি কংগ্রেস নেতাদের। আর সেটা যদি হয় তাহলে রিগিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলেও দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই নেতার তথ্য তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মাস রিগিং’। অর্থাৎ গণ ছাপ্পা দেওয়া হবে। বিজেপি নেতারা অবশ্য কংগ্রেসের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। সমালোচনা করেছেন। হেরে যাবে বলেই এমন তথ্য বাজারে ছড়াচ্ছে কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপির।