রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের গণনা এবং ফলপ্রকাশ হবে। তার আগে সপ্তম দফার নির্বাচন শেষ হতেই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট। তাতে বিজেপিকেই বেশি নম্বর দিয়ে দেখানো হয়েছে। এমনকী শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন দেওয়া হয়েছে। আর সমস্ত এক্সিট পোলেই বাম–কংগ্রেসের ক্ষেত্রে কোনও আশার আলো দেখানো হয়নি। সবাই আবার শূন্য ধরিয়ে দিয়েছে। তবে এই সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম। আজ, সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেখান থেকেই এক্সিট পোল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সরব হন তিনি।
আজ, সোমবার সুষ্ঠ ভোট গণনার দাবি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হয় সিপিএমের পক্ষ থেকে। এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, দমদম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী, শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর, তমলুকের সিপিএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ডহারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান, ব্যারাকপুরের সিপিএম প্রার্থী দেবদূত ঘোষ–সহ অনেকেই। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে সুর চড়ান সেলিম।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে আবার স্বস্তি পেলেন রেখা পাত্র, সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও সাত
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মহম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। তাঁকে আজ বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমরা এক্সিট পোল করি না। আমরা এতে বিশ্বাস করি না। আমরা ভোটে লড়েছিলাম, যে সমস্ত অপদার্থরা সংসদে রয়েছেন, তাঁদের এক্সিট ডোর দেখানোর জন্য।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক্সিট পোলের সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যম কী করে বলে দিচ্ছে, ওই আসনে ও জিতবে, অমুক আসনে কে জিতবে, কত টাকার বিনিময়ে? আমি এই সংবাদমাধ্যমের হিসেব মানি না। কর্মীদের বলব শক্ত থাকতে। গণনা ভাল করে করতে। যা দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম, তার দ্বিগুণ পাব। প্রত্যেকটা আসন আমরা জিতব।’
সুতরাং এটা বোঝা গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মহম্মদ সেলিম, রাহুল গান্ধী কেউ এই এক্সিট পোল মানছেন না। বরং প্রত্যেকেই সাফল্য পাবেন বলে দাবি করছেন। যা জানা যাবে রাত পোহালেই ৪ জুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি কোনও নম্বরে যাব না। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি, আমরা যে ভাবে মাঠে নেমে কাজ করেছি, লোকের চোখ দেখেছি, তাতে কখনও মনে হয়নি মানুষ আমাদের ভোট দেবে না। আমি আগে ফল দেখব, ফল দেখে হিসেব করব। আমাদেরও একটা অঙ্ক আছে। আমরা চেষ্টা করব, আরও আঞ্চলিক দল যেন আমাদের সঙ্গে আসে।’ এবার সেই একই কথা শোনা গেল মহম্মদ সেলিমের গলায়।