আজ, শনিবার দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। উৎসবের মেজাজে ভোট চলছে সর্বত্র। বাংলায় যেমন ভোট চলছে তেমন অন্য রাজ্যে ভোট চলছে। এই আবহের মধ্যেই আজ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, মেদিনীপুর, তমলুক, ঘাটাল এবং বিষ্ণুপুরে ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম পাঁচ দফা ভোট যেভাবে কেটেছে ষষ্ঠ দফায় সেভাবে নাও কাটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন। তাই এবারের ভোট নির্বাচন কমিশনের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ভোটের দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
আর এই ঘূর্ণিঝড় বাংলায় প্রভাব ফেললে ভোট–ষষ্ঠী মোটেও ভাল যাবে না। শুক্রবার এই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে কড়া সতর্কবার্তা শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিমি। তাই এসবের জেরে ভোট চলাকালীন যদি কোনও বুথে লোডশেডিং হয় তাহলে সেটা চাপের ব্যাপার হবে। এটাই এখন বেশি করে ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। কারণ, ষষ্ঠ দফায় যে লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট রয়েছে তার অধিকাংশ বুথই গ্রামবাংলায় অবস্থিত। সুতরাং ঝড়বৃষ্টি হলে লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যি কথাই বলছেন’, প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল নতুন কথা
লোডশেডিং হলে কী হবে? যদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লোডশেডিং হয় তাহলে ভোটগ্রহণ পর্ব বিঘ্নিত হবে। এই পরিস্থিতি হলে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রগুলির নির্বাচনী অফিসারদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, যেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা যাবে সেখানে সেটা রাখার কথা বলা হয়েছে। যেখানের বুথে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, সেখানে মোমবাতি–টর্চের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। যাতে কোনও অবস্থাতেই যেন ভোট প্রক্রিয়া বিঘ্নিত না হয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই সব ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখছে নির্বাচন কমিশন।
এখন ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শুরু হয়েছে। কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে মহিষাদলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুনের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘন্টায় ভোটের হার ১৬.৫৪ শতাংশ। তবে সব থেকে বেশি ভোট এখনও পর্যন্ত পড়েছে তমলুক এবং বিষ্ণুপুরে। এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে যথাক্রমে ১৯.০৭ এবং ১৮.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে সকাল ৯টা পর্যন্ত। শেষ কোথায় হয় সেটাই দেখার।