লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে নির্বাচন কমিশন আরও কড়া হল। রাত পোহালেই পঞ্চম দফার নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। আগামীকাল, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় তিন জেলার মোট ৭ আসনে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। এই দফায় সরাসরি ভোটের ডিউটিতে থাকছে ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ২৫,৫৯০ রাজ্য পুলিশ ও ৫৬৭ কিউআরটি ভ্যান। কিন্তু এর থেকেও উল্লেখযোগ্য খবর হল, ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় জোরদার কড়াকড়ি করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এবার কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ করার কাজে ব্যবহৃত জওয়ানদের আনা হচ্ছে বাংলায়।
এদিকে কাশ্মীরে জঙ্গি মোকাবিলা থেকে নিকেশ করার কাজে ব্যবহৃত ১০০ জন কনস্টেবলকে এবার বাংলার ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফার ভোটগ্রহণে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান এবং অফিসারকেও বাংলার ভোট পরিচালনার কাজের জন্য আনা হচ্ছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই জওয়ানদের দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, বসিরহাট–সহ একাধিক জায়গায় এই ফোর্স ব্যবহার করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। পঞ্চম দফাতেও কড়াকড়ি থাকবে। তবে তার থেকেও বেশি থাকবে পরের দু’দফায়।
আরও পড়ুন: এবার বড় নিয়োগ হতে চলেছে অঙ্গনওয়াড়ির নানা পদে, মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা
অন্যদিকে নির্বাচনের মরশুমে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার নীতেশ ব্যাস দুই মেদিনীপুর নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিতে বলেছেন। এই নির্দেশের দু’দিনের মাথায় কাশ্মীর থেকে এত বড় বিশেষ ফোর্স আনা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। নির্বাচন কমিশন নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জানা গিয়েছিল, এবার কাশ্মীরের থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করা হবে। আর হচ্ছেও তাই। দুই মেদিনীপুর, ব্যারাকপুর, দুই ২৪ পরগনার লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কোনওরকম অশান্তির ঘটনা যাতে এই কেন্দ্রগুলিতে না ঘটে তাই উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। তবে বাংলার ভোটগ্রহণের কাজে কাশ্মীরের জঙ্গি নিকেশ করা জওয়ানদের নিয়ে আসা এই প্রথম।
এছাড়া সন্দেশখালিতে সিবিআই–ইডির পর এনএসজি নেমেছিল। তাই কাশ্মীরের এমন দক্ষ জওয়ানরা সেখানের ভোটে থাকবেন। তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরেও এমন জওয়ানদের দেখা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে এমন জওয়ানদের দেখা গেলে সেটা হবে তাৎপর্যপূর্ণ। আর পঞ্চম দফায় অর্ধেকের বেশি আসন ক্রিটিক্যাল বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এই দফায় লাফিয়ে বেড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে বা বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।