আগামীকাল, শনিবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? আর তার পরিপ্রেক্ষিতে মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের মধ্যে থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সেটা জানতে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে বললেন রাজ্যপাল। এই রিপোর্ট না দিলে নির্দিষ্টভাবে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রাজভবনের বাসিন্দা। নন্দীগ্রাম এখন হয়ে উঠেছে তপ্তগ্রাম। বিজেপি কর্মী খুনের ২৪ ঘণ্টা পরই রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব করলেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। তারপর হঠাৎ আজ, শুক্রবার সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল। নয়াদিল্লি থেকে ঘুরে আসার পরই সক্রিয় হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অভিযোগ আগে উঠেছিল। তখন থেকে রাজ্যপাল খানিকটা চুপ করে গিয়েছিলেন। এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার মনসাবাজার এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন এলাকার বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ির মা রথিবালা আড়ি। সঞ্জয় নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ‘আমি রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দেব না’, আপ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন স্বাতী মালিওয়াল
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রাম। দোকান থেকে শুরু করে বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন লাগানো হয়েছে। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এমনকী এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয়েছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখন সেখানে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে খোঁজখবর করেন রাজ্যপাল। আর তারপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে সেটা জানতে চেয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। পাল্টা রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, গোটা দেশে এবং বাংলায় লোকসভা নির্বাচন চলছে। ভোট না মেটা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
তাই রাজ্য প্রশাসন বা নবান্ন এই বিষয়ে কিছু জানাতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনই সব বলতে পারবে। এই জবাব পেয়ে মোটেও খুশি নয় রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার দায় শুভেন্দু অধিকারীর উপর চাপিয়েছেন শেখ সুফিয়ান। তাঁর কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারী জানেন যে, নন্দীগ্রামে ডেফিসিট খাবে, তাই একটা শেষ পেরেক মারতে হবে। যে মনসাবাজারে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি ঝান্ডাও নেই। আদি এবং নব্য বিজেপির মধ্যে গণ্ডগোল, মারামারি হয়। একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রশাসনকে সত্য সামনে আনতে বলব।’