আর দুদিন পর সপ্তম দফার নির্বাচন। আর তার আগেই চরম তেতে উঠল জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। আর সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও রক্ষা মেলেনি আক্রমণ থেকে। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় বোমা। তবে এর পরও প্রাণ কেড়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকে। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই থমথমে জয়নগর। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে পুলিশের টহলদারি।
এদিকে আগামী ১ জুন যাদবপুর, মথুরাপুরের মতো একাধিক হেভিওয়েট আসনের সঙ্গেই ভোট হবে জয়নগরে। কিন্তু এই ভোটের আগে হিংসার ছবি সামনে চলে এল। গুলি–বোমার জেরে ঝরল রক্ত। জয়নগরের গড়দেওয়ানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং বোমা ছুঁড়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় প্রচারে আছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে জনসভা করছেন তিনি। তার আগে এমন ঘটনা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এই হামলার পিছনে বিজেপির হাত কি আছে? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সপ্তম দফার ভোটই শেষ পর্যায়ের ভোট।
আরও পড়ুন: মালদার তিন যুবক নিখোঁজ, ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আর ফেরেননি, উৎকণ্ঠায় পরিবার
অন্যদিকে জখম তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম তপন মণ্ডল। তিনি জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গড়দেওয়ানি পঞ্চায়েতের সদস্য। তপনবাবু মঙ্গলবার রাতে ভোটার স্লিপ গুছিয়ে রাখার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আর তখনই মোটরবাইকে চড়ে একদল দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। যদিও সেই গুলি তাঁর লাগেনি। এই পরিস্থিতি দেখে তপনবাবু পাশেই এক দোকানে লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ সেখানে তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। তারপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে জখম হন তপন মণ্ডল।
এছাড়া গুলি–বোমার শব্দে এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ততক্ষণে অন্ধকারে গা–ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারাই রক্তাক্ত অবস্থায় তপনকে উদ্ধার করে জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করার কাজ করেন। সেখানেই এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছে বকুলতলা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, হামলার নেপথ্যে আছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হামলার পিছনে কারা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এখনও কেউই গ্রেফতার হয়নি।