আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার শিকার হল বিজেপি। আর তার জেরে বিড়ম্বনাও বাড়ল। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এখন দেদার প্রচার চলছে। বিজেপি এই প্রচারে নামিয়েছে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে যেখানে আজ প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল মিঠুনের সেখানে যেতে পারলেন না। আর তার ফলে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়লেন। কিছু সাধারণ মানুষও মহাগুরুকে দেখতে এসেছিলেন। তাঁরাও হতাশ হয়ে ওই সভাস্থল ছাড়লেন। আর তাতেই বেকায়দায় পড়ে ক্ষমা চাইলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ।
এদিকে আগামী ২৫ মে বাঁকুড়ায় নির্বাচন রয়েছে। তাই আজ, বুধবার প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। তাই ওই কর্মসূচিতে পৌঁছতে পারলেন না মিঠুন। আর তাই ক্ষমা চাইলেন বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। এর আগে হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় সেখানে যাননি নরেন্দ্র মোদী। তাই সেখানে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে সভা শোনা ও দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু জনতা তাতে উৎসাহ হারানোয় চেয়ার ফাঁকাই পড়েছিল। পঞ্চম দফার ভোটের সময় ঝড়বৃষ্টি হলেও মানুষকে রাস্তায় নেমে ভোট দিতে দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতায় এসে দেখলাম দেওয়াল লিখন মোছা হয় না’, উষ্মাপ্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি
অন্যদিকে আজ প্রথমে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে সভা করার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। এমনকী ওন্দার রামসাগর এলাকায় বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে প্রচার কর্মসূচিতেও যোগ দেওয়ার কথা ছিল মিঠুনের। তাই এই দুই জায়গাতেই মিঠুনকে দেখার জন্য অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু সবাই হতাশ হলেন। কারণ শেষ মুহূর্তে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ মাইকে ঘোষণা করেন হেলিকপ্টার বিকল হয়ে পড়ায় মিঠুন চক্রবর্তী কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারছেন না। এই ঘটনার জন্য উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা চাইছেন তিনি। মিঠুনকে প্রচারে না পেয়ে হতাশ বিজেপি কর্মীরাও।
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস খোঁচা দিতে ছাড়েনি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আবহাওয়াও ওদের চায় না। তাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে বিজেপি দলটাই ভাঁওতাবাজির দল। লোক জড়ো করতেই মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রচারে নিয়ে আসার গল্প শুনিয়েছিলেন বিজেপির নেতা–কর্মীরা। আর এই ঘটনার পর সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মিঠুনদা এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন। তারপর চপার গোলমাল হওয়ার জন্য তিনি হোটেলে ফিরে গিয়েছেন।’