মাঝে আর একটা দিন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ–পর্ব। আর ঠিক তার আগে সন্দেশখালির অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস হয়ে গেল। আর তাতে পিয়ালি দাসের কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে। রেখা পাত্রের এবং সুকান্ত মজুমদারের নাম উঠে এসেছে। আর এই অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি একের পর এক স্টিং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তার জেরে স্নায়ুর চাপ বেড়েছিল। এবার সন্দেশখালি কাণ্ডে ভাইরাল হয়েছে একটি অডিয়ো ক্লিপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
এদিকে অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে ‘রেখা পাত্রের মুখের দাগ’ নিয়ে কথাবার্তা থেকে শুরু করে ‘দরকারে কলাগাছ কেটে ফেলতে বলেছেন দাদা’ এমন নানা কথা। আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় নির্বাচন আছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে। এই লোকসভার অধীনেই সন্দেশখালি। তাই এই অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথন ঘিরে নতুন করে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, একজন মহিলা এবং দু’জন পুরুষের কণ্ঠস্বর। সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর দাবি, এই অডিয়ো ক্লিপে যে মহিলা কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, সেটা স্থানীয় বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাসের। শুভঙ্কর এবং সুজয় মাস্টার বলে আরও দু’জনের নাম নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশন মারাত্মকভাবে ভুল করেছে’, অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে কড়া জবাব পি চিদম্বরমের
অন্যদিকে এখন কলকাতা হাইকোর্টের দৌলতে খানিকটা স্বস্তিতে রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র। আর পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস জামিন পেয়েছেন। সেখানে আবার এই ভাইরাল অডিয়ো তাঁদের স্নায়ুর চাপ বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো নাটক। এই অডিয়ো ক্লিপে আবার সেটা স্পষ্ট হল। এখানে বলা হচ্ছে, রেখা পাত্রর মুখে অত্যাচারের যে দাগ দেখা গিয়েছিল আসলে সেটা নকল। সুতরাং নারী নির্যাতনের কোনও ঘটনা ঘটেনি সেটা প্রমাণিত। এখানে শোনা গিয়েছে যে, দরকার পড়লে খুনও করতে হবে। বিজেপি কতটা নৃশংস তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার।’
এছাড়া আগের দুটি স্টিং ভিডিয়ো সামনে আসার পর তা প্রচারের আলোয় এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ওই ভিডিয়ো দুটিকে ভুয়ো বললেও কোনও মানহানির মামলা করেনি। অথচ তৃণমূল কংগ্রেস ওই দুটি ভিডিয়ো সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এবার অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে বিজেপি নেতারা কিছু বলছেন না। এমন আবহে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর কথায়, ‘যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল গঙ্গাধর কয়ালের পার্ট–ওয়ান, পার্ট–টু সেটা সত্য বোঝা যাচ্ছে। কারণ এখানে নারী নির্যাতন হয়নি। কে দাদা? এই দাদাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক। আইনত পুলিশের কাছে দাবি করব, শুভঙ্কর যে বলছে দাদার নির্দেশ কলাগাছের মতো কেটে ফেলতে হবে। সেই দাদাকে সামনে আনা হোক। সেই দাদা বিজেপির কোনও বড় নেতা হতে পারেন। শুভেন্দু অধিকারীও হতে পারেন।’ পুলিশ সূত্রে খবর, অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।