পঞ্চম দফার ভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই এবার তাল কাটল। কারণ আগামী ২০ মে বাংলায় পঞ্চম দফার নির্বাচন রয়েছে। ওইদিনে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে ভোটগ্রহণ হবে। এবার দু’দিন আগেই পোস্টার পড়ল শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানা স্থানে। আর তাতেই উত্তেজনা চরমে উঠেছে। কারণ এই পোস্টার পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে একাধিক এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এই কথা কানে গিয়েছে কল্যাণবাবুরও। তিনি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই পোস্টারের তলায় লেখা আছে প্রচারে ‘তৃণমূল কংগ্রেস’। তার মানে এই পোস্টার দলের কিছু লোকজন সাঁটিয়েছেন। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এই পোস্টার সিপিএম–বিজেপি যোগসাজশ করেই সাঁটিয়েছে। নাম দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যাতে তাদের কেউ সন্দেহ না করে। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘নিজের নোংরা চরিত্র এবং খারাপ ব্যবহারের জন্য এবারের ভোটে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সাংসদ কল্যাণের সঙ্গে হাওড়ার ডোমজুড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কল্যাণ ঘোষকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে ওই পোস্টারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি না হওয়ায় চা–শিল্পে ভয়ঙ্কর সংকট দেখা দিয়েছে, প্যাকেজের দাবিতে চিঠি নবান্নে
এখানে একটা বিষয় হল, হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভা শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। তাই একই পোস্টারে দু’জনকে আক্রমণ করা হয়েছে। ডোমজুড়ের সলপ বাজার, কাছারিয়া বাজার–সহ নানা এলাকায় ওই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটাল সেটা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে ডোমজুড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘পোস্টার কাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন সিপিএম–বিজেপির অনুগামীরা। ভোটের মুখে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তাঁরাই তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে মিথ্যে পোস্টার লাগিয়েছে। বিজেপির এই চক্রান্তের জবাব ডোমজুড়ের মানুষ দেবেন। শুধু ডোমজুড় থেকেই ৫০ হাজার ভোটে লিড পাবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর। সিপিএম এই দায় ঝেড়ে ফেলেছে। এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘কল্যাণের কাজকর্মে ওর এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই বীতশ্রদ্ধ। কারণ, শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তোলাবাজি আর উঁচুতলায় তোষামদ করা ছাড়া দলের নীচুতলার কারও কল্যাণে কোনওদিন কিছু করেননি। এবার শ্রীরামপুরের মানুষ জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। দীপ্সিতাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু তিনি তা করেননি।’ কল্যাণের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কবীরশঙ্কর বোস। যিনি প্রাক্তন জামাইও।