কর্ণাটকে প্রোজ্জ্বল রেভান্নার অশ্লীল ভিডিয়ো কাণ্ডে নতুন মোড়। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তাঁর এই অশ্লীল কাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূল হয়ে পড়ে যে, নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচাতে দেশ ছেড়ে জার্মানিতে পালিয়ে যান। এই নিয়ে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। কারণ এই প্রোজ্জ্বল রেভান্নাকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পর্যন্ত দিয়েছে বিজেপি। এই প্রোজ্জ্বল রেভান্না একাধিক নারীকে জোর করে যৌন সংসর্গ করতে বাধ্য করতেন এবং তা ভিডিয়ো করে রাখতেন। এমনকী তা দিয়ে ওইসব নারীদের ব্ল্যাকমেল করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আজ, সোমবার তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা ছেড়েছেন। যেখানে জানিয়েছেন, প্রচণ্ড হতাশায় ভুগছেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় হাসান থেকে দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। চেতন ও লিকিত গৌড়া নামে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিয়ো ফাঁস ও সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দু’জনের বয়ান রেকর্ড করে সিট। তবে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় কর্ণাটকের হাসান আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর জেডিএস প্রার্থী প্রোজ্জ্বল রেভান্নার অশ্লীল ভিডিয়ো’র ঘটনা সামনে আসে। যার জেরে গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি প্রোজ্জ্বল রেভান্না। তবে আজ যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তা যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
আরও পড়ুন: রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে নির্বাচনী কর্মসূচি বদল মমতার, বাতিল অভিষেকের রোড–শো
অন্যদিকে এখন এই ভিডিয়ো সামনে নিয়ে এসে প্রোজ্জ্বল দাবি করেছেন, তিনি চরম হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এই ভিডিয়ো–তে প্রোজ্জ্বল বলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইছি আমার অভিভাবকের কাছে। আমি হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি ভারতে ফেরত আসতে চাই। আর তদন্তকারী দলের মুখোমুখি হতে চাই। আগামী ৩১ মে আমি সিটের সামনে আসতে চলেছি।’ এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি প্রোজ্জ্বল রেভান্না এবং তিনি ভাইপো এইচ ডি কুমারস্বামীর। শুধু তাই নয়, এই প্রোজ্জ্বল রেভান্না নিজের জনতা দল সেকুলারের শীর্ষ নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠতেই সিট গঠন করে কর্ণাটকের সরকার।
এই সিট গঠন করতেই বিপাকে পড়ে প্রোজ্জ্বল রেভান্না। এখন জনতা দল সেকলার (জেডিএস) বিজেপির শরিক দল। সেক্ষেত্রে বিজেপির নাম ডুবছে। ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। অন্যান্য আঞ্চলিক দল যাঁরা ইন্ডিয়া জোটে আছে তাঁরা বিজেপি এবং জেডিএস দু’জনের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দুই দলের বলে মনে করা হচ্ছে। কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত হাসান লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন প্রোজ্জ্বল রেভান্না। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই আসন থেকে। আর বিজেপি নেতারা তাঁর হয়ে সভা করেছিলেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় আবার প্রোজ্জ্বল ফিরছেন ভারতে বলে তিনিই জানিয়েছেন।