লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা মিটে গিয়েছে। বাকি আছে আর তিন দফা। তাই সর্বত্র জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার–সভা–সমাবেশ চলছে। পঞ্চম দফার প্রস্তুতি চলছে জেলায় জেলায়। তবে এই নির্বাচনী প্রচার করতে যাওয়ার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর জনসভার ঠিক আগের মুহূর্তে তাঁর নামে চাকরি চোর পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গেল পুরুলিয়ার বরাবাজার শহর। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুরুলিয়ার এই এলাকায় গোটা ঘটনা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনা নিয়ে ফুঁসতে শুরু করেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বরাবাজারে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ প্রনত টুডুর সমর্থনে জনসভায় যোগ দিতে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই মতো তৈরি হয়েছে মঞ্চও। কিন্তু তাল কেটেছে জনসভার আগে বরাবাজার শহর জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর নামে চোর পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে। সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে প্রিন্টেড ওই পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘পুরুলিয়ার চাকরি চোর শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো।’ আর তাতেই তেতে উঠেছে বিজেপি কর্মীরা। পুরুলিয়ায় ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে। তার আগেই এমন চোর পোস্টার পড়ে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কৃষকের জমি নষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী সভা করেছেন’, আরামবাগ থেকে তোপ অভিষেকের
কিছুদিন আগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি খোয়া গিয়েছিল। এই নিয়ে বোমা ফাটানোর কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই চাকরি যায় এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষক–শিক্ষিকাদের। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বহাল থাকে ২৬ হাজার শিক্ষকদের চাকরি। আর এই ঘটনার রেশেই আজ এমন পোস্টার পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে সেটা এখনও অজানা। এলাকার বিজেপি কর্মীদের দাবি, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ–সভাপতি গৌতম রায় বলেন, ‘তৃণমূলের রাজনীতি চোরেদের রাজনীতি। তাই চোরের মতো কাজ করেছে। সাহস থাকলে প্রকাশ্যে নাম দিয়ে পোস্টার দিতো।’
অন্যদিকে এই পুরুলিয়াতেও বহু শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি গিয়েছিল। এখন সবটাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। সিবিআই তদন্ত করছে। তবে এই ঘটনার রেশ পড়েছে লোকসভা নির্বাচনে। বিজেপিকে অনেকে বিশ্বাস করছে না। কারণ এই ২৬ হাজার শিক্ষকদের জন্য রাজ্য সরকারকে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। তাই এখন এমন পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী নিবেদিতা মাহাতো বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিজেপির লোক নেই। তাই তারা এভাবে চক্রান্ত করছে। কারণ গত কয়েকদিন আগে বান্দোয়ান বিধানসভা থেকে জনসভা না করে ফিরে যেতে হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে মানুষ না থাকায়।’