আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট গোটা দেশে শেষ হয়েছে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। এই আবহে ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে একটিও পাবে না বিজেপি বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে বাংলায় বিজেপির ফল মারাত্মক খারাপ হবে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এক্সিট পোল। তার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। সেখানেই বিজেপি যে বাংলায় ধরাশায়ী হচ্ছে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
এদিন সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা আত্মবিশ্বাসী। ভোট দেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দিয়েছে। কারণ গত পাঁচ বছরের বঞ্চনার জবাব পড়েছে আজকের ভোটবাক্সে। ২০১৯ সালের থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন বাড়বে এই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। তাই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে প্রথম এত বড় একটা নির্বাচন হল। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল যাতে সুবিধা পায় তার জন্য এসব করা হল। এত কিছুর পরও আমরা মনে করি পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফলাফল করবে। এই সপ্তম দফায় বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুখে হালকা হাসি, জয়ের চিহ্ন ভিকট্রি দেখিয়ে শেষলগ্নে ভোট দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, বিজেপি সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ২৯৫টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়া জোট। আর তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বাংলায় বেশিরভাগ আসনই তাদের দখলেই থাকবে। এমনকী উত্তরবঙ্গে ফল ভাল হতে পারে বলে বুথফেরত সমীক্ষায় উঠে আসছে। তবে আজকের ভোট–পর্ব নিয়ে শশী পাঁজা বলেন, ‘নির্বাচনী যুদ্ধে বাংলাকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে বিরোধী প্রার্থীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। নির্বাচন কমিশনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাঁরাই বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচন কমিশন থাকলে ভোট সুষ্ঠভাবে হবে।’
অন্যদিকে আজ সন্দেশখালি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্রকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল ছোঁড়া হয়। তখন কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশও। এই আবহে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সন্দেশখালির একটা অংশ। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ‘সন্দেশখালির মিথ্যা চক্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। পাত্র ফুটো হয়ে গিয়েছে এবার শুধু জল ঢালার জায়গা। পুরোটাই মিথ্যে ঘটনা মানুষ বুঝতে পেরেছে। গতবছর আমাদের প্রতিনিধিদের দিল্লি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা থেকে বিজেপির পতন শুরু হয়েছিল। দিল্লিতে বসে থাকা জমিদারের দলের বিদায় ঘোষণা করা হল। আগামী ৪ জুন আমরা সবুজ আবির খেলব।’