আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হচ্ছে গোটা দেশে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। এই আবহে উপনির্বাচনও হচ্ছে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রে। আর সেখানেই সকালে বুথে গিয়ে ধাক্কা খেলেন সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। বরানগর উপনির্বাচনের প্রার্থীকে এদিন প্রথমে গো–ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে ধাক্কা মেরে ঠেলে দেওয়া হয়। হাত ধরে টানাটানি করা হয় বলেও অভিযোগ। বাম প্রার্থীর দাবি, বুথে বুথে গিয়ে তিনি এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ তাঁকে সরে যেতে বলা হয় এবং ধমকও দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন বাম প্রার্থী।
এদিকে তর্কাতর্কি শুরু হতেই সেটা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। বাম প্রার্থীর সঙ্গে এদিন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদার। শনিবার বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান। সেখানেই বরাহনগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। দু’জনকে থামাতে দৌড়ে আসেন দু’দলের কর্মীরা। সেলিমের পর এবার তন্ময় ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটল। ভোটের দিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাতাহাতি এমনকী রীতিমতো পরস্পরের কলার চেপে ধরেন।
আরও পড়ুন: ‘আবার পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হবে, তাই বয়কট এক্সিট পোল’, কংগ্রেসকে খোঁচা শাহের
অন্যদিকে বরানগরের বিকেসি কলেজে এই ধস্তাধস্তির ছবি সামনে আসে। তারপরই প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। কয়েকজনের সঙ্গে প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয়। বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। পাল্টা তিনিও জবাব দেন। তন্ময়কে দেখেই নাকি ‘চোর’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলর ও অনুগামীরা। সিপিএম প্রার্থীর বক্তব্য, ‘আমায় দেখে কাউন্সিলর বললেন, আপনি এখানে কেন? আমি বললাম আমি তো প্রার্থী, কিন্তু আপনি এখানে কেন? তখন আমাকে চোর বলা হয়। এখান থেকে চলে যান। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কী চুরি করেছি? জেল তো খাটছি না। তখনই আমাকে ঘিরে মারধর করল।’
এছাড়া এই ঘটনায় আঘাত পেয়েছেন তন্ময় ভট্টাচার্য। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কদর্য আচরণ করেছেন সিপিএম প্রার্থী। তন্ময়ের কথায়, ‘সকাল থেকে সব বুথ দেখতে যাচ্ছি। এখানেও এসেছিলাম। এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে চলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ গো– ব্যাক বলে চিৎকার করতে থাকে। তখন আমি কোনও ভোটারের সঙ্গে কথা বলিনি। তৃণমূলের জোর কমছে। ওদের ঘুষির জোরও কমছে। ওরা আমাকে বলেছে, ২ মিনিট লাগবে বুঝে নিতে। আমিও বলেছি, তোমার যদি ২ মিনিট লাগে, আমারও ২ সেকেন্ড সময় লাগবে।’ পাল্টা বরাহনগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অঞ্জন পাল বলেন, ‘তন্ময়বাবু সকাল থেকেই আমাদের কর্মী, বুথ এজেন্টদের প্ররোচিত করছেন। উনি ঘুরপথে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে মদত করার চেষ্টা করেন। আমরা তাঁর সেই অভিসন্ধি ধরে ফেলায় তন্ময়বাবু এমন কদর্য আচরণ করলেন।’