আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মধ্যগগনে। তবে এই ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে আজ সোমবার ভোট দিতে পারলেন না দীর্ঘদিনের ভোটার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই ভোট দিতে পারলেন না বলে কথা! এই ঘটনায় অবাক স্বয়ং বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বরাবরের ভোটার তিনি হাওড়ার। সেখানে তিনিই ভোট দিতে এসে ফিরে গেলেন! এই ঘটনা নিয়ে হাওড়াবাসীর মধ্যে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে ভোট দিতে না পারার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ক্ষোভ উগরে দেননি। কিন্তু খুব আশ্চর্য হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে তাঁর বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় যথেষ্ট হতাশ হয়েছেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কোর্টে বল ঠেলা হয়েছে। এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনই দেখে। তারাই কোনও কলকাঠি নেড়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘটনায় হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাও বেশ অবাক হয়েছেন। এমনটা হতে পারে তাঁরা ভাবতেই পারছেন না।
আরও পড়ুন: ‘আমি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব, এখন রাজ্য আছে পালের গোদা হারিয়ে গেছে’, মমতার তুলনায় কারা?
অন্যদিকে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মধ্য হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হচ্ছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়াজগতের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি। তাছাড়া নানা সমাজ সেবামূলক কাজ করে থাকেন বাবুন। আজ, সোমবার পঞ্চম দফার ভোট চলছিল হাওড়ায়। তাই এদিন নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দুপুরে সেখানে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। আর তারপরই এগিয়ে গিয়ে কার্যত হতাশ হতে হল তাঁকে। কারণ ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে দেখিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর নাম কাটা গিয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘এই বিষয়টি দেখে নির্বাচন কমিশন। কেন এমন ঘটল? সেটা তারাই বলতে পারবে।’
এছাড়া কিছুদিন আগে ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেন বাবুন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ত্যাজ্য ভাই করার কথা বলেছিলেন। পরে যদিও সব মিটে যায় বলেই খবর। তাই বাবুনকে দেখা গিয়েছিল প্রসূনের সঙ্গে একসঙ্গে প্রচার করতে। আগে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করার কথা বলা বাবুন পরে সে পথে হাঁটেননি। এই বিতর্কের মধ্যে বাবুন নয়াদিল্লিও উড়ে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে নিজের ভুল স্বীকার করেন।