লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে গোটা দেশে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা বুথফেরত সমীক্ষা। যেখানে বলা হচ্ছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখানো হয়েছে, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী। ৪০০ আসন না হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভর করেই সরকার গঠন করতে পারেন মোদী। এমনকী বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে অনেক বেশি আসনে বিজেপি জয় পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বুথফেরত সমীক্ষাগুলি। যদিও এই এক্সিট পোল গুরুত্বই দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তা স্পষ্ট করেছেন। এবার আসন সংখ্যা উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
এদিকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি সমীক্ষা রিপোর্ট পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। সংবাদমাধ্যমে আসন সংখ্যা নিয়ে বড় দাবি করেছেন শান্তনু সেন। আর সবাইকে ছাপিয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে বিরোধীদের উৎসাহে ভাটা ফেলে দিলেন কুণাল ঘোষ। তবে আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস যখন বেশিরভাগ আসন পাবে বলে দাবি করছে তখন বিজেপি এই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল গণনায় কারচুপি হতে পারে বলে এক্স হ্যান্ডেলে সাড়া ফেলে দিয়েছে। স্বপন দাশগুপ্ত, শুভেন্দু অধিকারীরা আজ, রবিবার থেকেই সোচ্চার হয়েছেন। যা এককথায় তাৎপর্যপূর্ণ।
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল? আজ, রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেস কতগুলি আসন পাবে তা তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি আজ লেখেন, ‘বাংলায় তৃণমূল ৩০+, বুথ ফেরত সমীক্ষার তথাকথিত রিপোর্টে বাস্তব প্রতিফলিত হয়নি। কিছুক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে অবাস্তব তথ্য ছড়ানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা বিভ্রান্ত হবেন না। গণনার দিন এজেন্টরা শেষ পর্যন্ত সক্রিয় থাকুন। মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছেন।’ কুণাল ঘোষের এই পোস্টের পর অনেকে চাঙ্গা হয়েছেন। ফিরে পেয়েছেন মনোবল।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি কতগুলি আসন পাবে? এক্স হ্যান্ডেলে বড় সমীক্ষা পেশ দেবাংশুর
আর কী জানা যাচ্ছে? বুথফেরত সমীক্ষা যে ফেক সেটা আগেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমীক্ষার থেকে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বেশি আসন পাবে বলে দাবি তাঁর। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্য ২৮টি আসন নিজের দলকে দিয়েছেন। শান্তনু সেন ৩০টির বেশি আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এই দাবির সঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি মিলে গিয়েছে। সুতরাং যদি তৃণমূল কংগ্রেস ন্যূনতম ৩০টি আসন পায় তাহলে পড়ে থাকে ১২টি আসন। যা বিজেপি এবং কংগ্রেস–সিপিএম জোটের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। এখন দেখার ৪ তারিখ কোন দিকে গড়ায় ফলাফল।