লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই ঝাঁপিয়ে সম্প্রচার হতে থাকে এক্সিট পোল। বেশিরভাগ রাজ্যের নজর ছিল বাংলার দিকে। কারণ মোদীর জয়ের রথ বাংলায় থামিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল তার প্রমাণ। তখনও বুথফেরত সমীক্ষা মেলেনি। এবারও ২০২৪ সালের বুথফেরত সমীক্ষা বাংলার ক্ষেত্রে মিলবে না বলেই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারবে না বলেই তাঁদের দাবি। বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসন। সেগুলি নিয়ে এক্সিট পোলে যা দেখানো হয়েছে তা খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা মানুষের রায়ে বিশ্বাস করেন। এক্সিট পোলে নয়। বাংলার ক্ষেত্রে এক্সিট পোলে দেখানো হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাচ্ছে বিজেপি। এটাকেই খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ২২টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি। তারপর তার থেকে দুটি পরে কমেও যায়। তিনবার বাংলার মানুষের রায়ে রাজ্য চালানোর গুরুদায়িত্ব পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার লোকসভা নির্বাচনে সেই দলেরই ফলাফল খারাপ হতে চলেছে বলে দেখানো হয়েছে এক্সিট পোলে। এসবের নেপথ্যে ‘অন্য অঙ্ক’ দেখছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন: ‘আমি এক ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করছি’, ৪৫ ঘণ্টার ধ্যান ভেঙে অনুভূতি লিখলেন মোদী
এদিকে বাংলার ফলাফল নিয়ে নানা তথ্য দেখানো হলেও ৩০টির বেশি আসন পাবে তারা বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। সেক্ষেত্রে বিজেপির ফলাফল আগের মতোই হবে না। বাড়তি আসন লাভ তো অসম্ভব। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘একুশ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ এক্সিট পোলে দেখানো হয়েছিল বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসছে। আমরা আসল ফলাফল জানি। তৃণমূল কংগ্রেস দুই–তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এবার ৩০টির বেশি আসন পাবে রাজ্যে।’
অন্যদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভিকট্রি চিহ্ন দেখিয়ে দিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলায় বেশিরভাগ আসনই তৃণমূল কংগ্রেস পাবে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলেও সে কথা জানিয়েছেন। এক্সিট পোল সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধীদের মনোবল ভাঙতেই সাজানো হয়েছে এমন অঙ্ক। এটা বিজেপির ভাঁওতা ছাড়া কিছু নয়। এসব ওদের কথায় করেছে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম ও সমীক্ষক সংস্থা। এই এক্সিট পোল কেউ বিশ্বাস করবে না বলে ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী এই চিত্রনাট্য আগে থেকেই তৈরি করা ছিল বলেও মনে করেন তৃণমূলনেত্রী।