এখন গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচন চলছে। চতুর্থ দফা পর্যন্ত নির্বাচন শেষ হয়েছে। আর বাকি আছে আরও তিন দফার নির্বাচন। এই আবহে দেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। কারণ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশানাল হিউমান রাইটস ইনস্টিটিউশন (জিএএনএইচআরআই) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করল। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছরও স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করল গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশানাল হিউমান রাইটস ইনস্টিটিউশন (জিএএনএইচআরআই)। তার ফলে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কতটা নিরপেক্ষ সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন কংগ্রেসের তিরুঅনন্তপুরমের প্রার্থী শশী থারুর।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে গোটা বিষয়টি তুলে ধরেন শশী থারুর। মোদী সরকারের জমানায় ভারতের স্বশাসিত সংস্থার এমন হাল তিনি তুলে ধরে খোঁচা দিয়েছেন। আর তাতেই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশানাল হিউমান রাইটস ইনস্টিটিউশন (জিএএনএইচআরআই) সংস্থাটি রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে জড়িত। সেখানে ভারতের জাতীয় মানবিধাকার কমিশনকে স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের দরবারে ভারতের বদনাম হল বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিশ্বগুরু’ হিসাবে তুলে ধরার অদম্য প্রয়াস করা হচ্ছে সেখানে লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এমন ঘটনা বড় ধাক্কা হিসাবে দেখছেন সকলে।
শশী থারুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ব্যর্থ হয়েছে প্রমাণ করতে যে এই সংস্থা নিরপেক্ষ। আন্তর্জাতিক সংস্থার সামনে এটা প্রমাণ করতেও ব্যর্থ হয়েছে যে, এনএইচআরসি কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলে না। সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ আছে এটাই প্রমাণ হয়। জেনিভায় অবস্থিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে সম্পর্কিত এই সংস্থা ভারতের এনএইচআরসি–কে স্বীকৃতি দিতে বিলম্ব তো করলই এমনকী স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করল। গত ১ মে এই স্বীকৃতির বিষয়ে সাব–কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, হনডুরাস এবং গ্রিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
ওই বৈঠকেই ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করা হয়। এই বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শশী থারুর লেখেন, ‘ভারতীয় হিসাবে আমার লজ্জা করছে এটা পড়তে যে, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশানাল হিউমান রাইটস ইনস্টিটিউশন (জিএএনএইচআরআই) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করল। দ্বিতীয় বছরও একই ঘটনা ঘটল। এনএইচআরসি ব্যর্থ হয়েছে প্রমাণ করতে যে, সরকারের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া এটা চলে। দুঃখের হলেও এটা সত্য শুধু এনএইচআরসি নয়, দেশের সব স্বশাসিত সংস্থার নিরপেক্ষতাই খর্ব হয়েছে মোদী সরকারের জমানায়। একমাত্র আমাদের নতুন ভারত সরকার বিশ্বের দরবারে ভারতের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে।’