লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একবার তিনি বলেছেন, ব্র্যান্ড মোদী অপরাজেয় নয়। কোনও নেতা–নেত্রী মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন কিনা জানি না, তবে জনগণ এখন মোদীকে চ্যালেঞ্জ করছেন। আবার কখনও বলছেন, ২০১৯ সালের মতো ফল হবে বিজেপির। এই নানা কথা যিনি বলছেন, ভবিষ্যদ্বাণী করছেন তিনি হলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এসব কথা বললেও তাঁর নজর কিন্তু বিহার রাজ্যেই। এই বিহারে ২০২৫ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাহলে কি এবার জন সূরযকে পার্টি করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন প্রশান্ত কিশোর? উঠছে প্রশ্ন।
নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে তিনি সাফল্য পেয়েছেন বারবার। তাই তাঁর কথা সহজে কেউ ফেলে দিতে পারেন না। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ফল মিলিয়ে দিয়ে ছিলেন। আর এবার এক সাক্ষাৎকারে পিকে বলেন, ‘২০২৫ সালে বিহারে জন সূরয জিতে ক্ষমতায় আসবে। ২৪৩ আসনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জন সূরয। পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিধানসভা গঠন করবে। আমি লিখে দিচ্ছি, জন সূরয ২০২৫ সালে নিজের দমে বিহারের ভোটে জিতবে। যদি জন সূরয সফল না হয় তাহলে নিজের সমস্ত প্রয়াস ছেড়ে দেব।’ জোর গলায় এই দাবি করেছেন তিনি। সুতরাং তাঁর হাতে তৈরি জন সূরয আগামী দিনে বিহারের ভোটে বড় চমক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁর হাতে তৈরি জন সূরয প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে পিকে’র ভূমিকা কী হবে?
আরও পড়ুন: ‘উত্তর কলকাতার মানুষ আপনার জামানত জব্দ করবে’, নাম না করে তাপসকে তোপ মমতার
এখন দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আর তখনই এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় প্রশান্ত কিশোরকে প্রশ্ন করা হয়, বিহারে পরের বছর জন সূরযের সরকার গঠন হলে মুখ্যমন্ত্রী কি তিনি হবেন? উত্তরে পিকে বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোরের তো কোনও নিজস্ব দল নেই। আমি কখনও নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ঘোষণা করিনি। জন সূরয নিজের ক্ষমতায় ভোটে জিতবে। আর না জিতলে আমায় খুঁজে নেবেন। আমায় তখন জিজ্ঞাসা করবেন, যা বলেছিলাম তার সঙ্গে বাস্তবের মিল ঘটেছে কি না। আমাকে সমস্ত প্রচেষ্টা ছেড়ে যা করতে বলবেন তা করতে রাজি হয়ে যাব।’
এই কথা বলার পর থেকেই বিহারে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ সেখানে নীতীশ কুমারের দল এনডিএ’র সঙ্গে সরকার চালাচ্ছে। লালুপ্রসাদের দল প্রধান বিরোধী দল হয়ে কাজ করছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভাল ফল করার কথা। তেমন তথ্যই উঠে আসছে। সেখানে এত আগাম ভবিষ্যদ্বাণী সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় ফিরলে কেমন পরিবর্তন হবে তাও বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। এবার নরেন্দ্র মোদীর সরকার তৈরি হলে পেট্রল এবং ডিজেল এফএসটি’র আওতায় চলে আসতে পারে। রাজ্যগুলিকে আরও দিল্লি নির্ভর করে তোলার চেষ্টা করা হবে বলে দাবি পিকে’র। পিকে’র কথায়, ‘মোদী ফের একবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে ক্ষমতা এবং সম্পদ আরও বেশি কেন্দ্রের অধীনস্থ থাকবে।’