লোকসভা ভোটের আবহে নয়া ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি, অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ মে আরামবাগে নির্বাচন আছে। সেক্ষেত্রে আজ শনিবার প্রচারের শেষ দিন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিতালী বাগের সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে বিজেপি নতুন ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আরামবাগের নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির সন্দেশখালির কলঙ্ক মানুষ আজীবন মনে রাখবে। ওরা চক্রান্ত করেছে। আমি জানতে পেরেছি, বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে ওরা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। সিপিএমের অত্যাচারে গোঘাটে মানুষ থাকতে পারত না। জমি দখল করা হত। অত্যাচারের শেষ ছিল না। আমি চমকাইতলাতে মিটিং করতে এসেছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত পাঁজা। আমাদের মঞ্চ, মাইক ভাঙা হল। আমি অজিত পাঁজাকে উদ্ধার করেছিলাম। আমি সেই দিনগুলি ভুলে যাইনি।’
আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের একটি ছবি থাকলেও ভাল হতো’, সুদীপকে নিশানা করে মোনালিসার খোঁচা
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী আজ জানান, মন্দির থেকে প্রতিমা সরিয়ে রাজ্যে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সন্দেশখালি ব্য়র্থ হওয়ার পর বিজেপির এখন এটাই প্ল্যান। মন্দিরে মন্দিরে মূর্তি সরিয়ে দিয়ে হিন্দু–মুসলমান দাঙ্গা বাঁধার পরিকল্পনা করছে। প্রশাসনকে বলব টেক কেয়ার করতে। যেখানে যেখানে এরকম হবে, সেই এলাকার দায়িত্ব নিতে হবে, যেন অশান্তি না হয়। একটা মন্দিরে যদি কিছু করে সঙ্গে সঙ্গে সারিয়ে দেবেন। আমরা ওদের মতো দেবতাকে অসম্মান করি না। বাংলার শান্তি আমাদের সকলকে বজায় রাখতে হবে। বিভাজনের জন্য এসব করবে। এটা করতে দেবেন না।’
এছাড়া মিতালী বাগের যথেষ্ট প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন তাঁকে ভোট দেবেন? সে কথাও তুলে ধরেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মিতালী খুবই সাধারণ পরিবারের মেয়ে। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। উচ্চশিক্ষিত। আমরা চাই আদিবাসী সমাজ, বাউড়ি সমাজ, সকল মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে। ওকে আমি কিন্তু এমনি এমনি টিকিট দিইনি। ওকে টিকিট দিয়েছি জয়ী হবার জন্য। আমি চাই, আপনারা সকল সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধভাবে ওকে জয়ী করবেন। নিজেদের মধ্যে যেন ভুলভ্রান্তি না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। বাংলা দেশ স্বাধীন করেছিল। এবারও বাংলা দেশকে পথ দেখাবে। মোদীকে সরাতে হবে। এই নির্বাচনে যদি ওরা যেতে আর সংবিধান থাকবে না। ভোট হবে না। আপনাদের অধিকার থাকবে না। তাই নিজের ভোট বুঝে দেবেন।’