আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মধ্যগগনে। তবে এই ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে আজ সোমবার অতীত এবং বর্তমানের স্মৃতি টেনে নির্বাচনী সভা থেকে একজনের প্রতি কৃতজ্ঞ অপরজনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন। আবার পরস্পরের মধ্যে তুলনাও টানলেন। দেবের পক্ষে পাঁশকুড়ায় নির্বাচনী সভা থেকে প্রাক্তন রাজ্যপালের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার কথা জানালেন। আর নাম না করে বর্তমান রাজ্যপালকে তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে পাঁশকুড়ার নির্বাচনী সভা থেকে সিপিএমের সন্ত্রাসের কথা টেনে আনলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এই বিষয়েই রাজ্যের দুই রাজ্যপালের তুলনাও টানলেন। আর জানালেন, সারাজীবন তিনি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নন্দীগ্রামের সময় বারবার আটকে দেওয়া হয়েছিল রাস্তায়। কোলাঘাটে রাত ২টো পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলাম। সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। আরও টাকা চায়। প্রোটেকশন চায়। এরা মদ খেয়ে পেট্রোল বোমা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আমার গাড়ি ঘিরে। যাতে আমি নন্দীগ্রামে যেতে না পারি। আমার উপর অত্যাচার করা হয়। আমি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব একটি মানুষের কাছে। মানুষটি হলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনি একজন বিশিষ্ট মানুষ।’
আরও পড়ুন: ‘রেলকর্মীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি’, বিষ্ণুপুর থেকে মোদীর সমালোচনায় মমতা
অন্যদিকে প্রাক্তন এই রাজ্যপালকে একবার রাষ্ট্রপতি করার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেটা হয়নি। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক ভাল নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আজকের রাজ্যপালের কথা বলব না। রাজ্য আছে, পালের গোদাটা হারিয়ে গিয়েছে। আমি বলব সেদিনের কথা। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী একজন বিরোধী দলনেতাকে দিয়ে আমাকে বার্তা দেন। বললেন, রাতটা সরে যাও। নয়তো তোমাকে পেট্রোল বোমা মেরে ওরা মেরে ফেলবে। পুলিশ কিছু করতে পারবে না। সিপিএম যা বলে, পুলিশ তাই করে। এখন অনেক ভাল আছো তোমরা। পুলিশকে গাল দাও। পুলিশই রক্ষা করে।’
এছাড়া ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নির্বাচনী সভা থেকে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চের নন্দীগ্রাম গণহত্যার কথা তুলে ধরে দুই রাজ্যপালের এভাবেই তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই তুলনা টানার পিছনে রয়েছে রাজভবনে যুবতীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ। আবার বাংলার নৃত্যশিল্পীকে নয়াদিল্লির পাঁচতারা হোটেলে ধর্ষণ করার অভিযোগ। আর এইসব অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত নালিশ করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনের বাইরে খুব একটা বেরোচ্ছেন না।