আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। আজ, বুধবার নানা জায়গায় সভা শুরু হয়েছে জোরকদমে। রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তিনি যা বলছেন তার জবাব দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং টানটান স্নায়ুর লড়াই চলছে রাজ্য–রাজনীতিতে। আর এই আবহে ১ জুন শেষ দফায় রাজ্যের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে উপনির্বাচন হবে বরাহনগর কেন্দ্রেও। এলাকাটি দমদম লোকসভার অধীনে। এই দমদম আর বরাহনগরে বিজেপি–সিপিএমের মধ্যে বড় সেটিং হয়েছে বলে বুধবার মেটিয়াবুরুজের সভা থেকে বড় অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ কাকদ্বীপের সভা থেকে বাংলায় সিপিএম–তৃণমূলের আঁতাত নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা বারুইপুরের সভা থেকে বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিকেলে মেটিয়াবুরুজের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি একটা তথ্য দিয়ে রাখছি। ক্রসচেক করে নিন। অনেক জায়গায় হয়েছে। দমদমে সিপিএম ঠিক করে নিয়েছে, তাদের এমপি ভোটটা বিজেপিকে দেবে। আর বিজেপি বিধানসভার উপনির্বাচনে সিপিএমকে ভোট দেবে। অভিষেক শুনে রাখো, অ্যামেম্বলির ভোটটাও সিপিএম বিজেপিকে দেবে।’ এই নিয়ে এখন জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এখানকার মহিলাদের বলছি, মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন’, নাম না করে স্বপনকে বিঁধলেন কাকলি
এদিকে আজকের এই নির্বাচনী সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে বিষয়টি দেখতেও বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর বক্তব্য, ‘এখানে আসার সময় দেখলাম, বিজেপি কয়েকটা সিপিএমের লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে। বিজেপির টাকা নিয়ে কংগ্রেসকে দিয়ে খেলাচ্ছে সিপিএম। সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গার পার্টি সিপিএম। তবে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে যদি উৎখাত করতে পারি তাহলে মোদীকেও দেশ থেকে উৎখাত করতে পারব। তৃণমূল কংগ্রেস মরে গেলেও সিপিএম–কংগ্রেস–বিজেপির যতদিন গঠবন্ধন থাকবে, ততদিন আমি সিপিএম–কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলায় কোনও অ্যাডজাস্ট করব না।’
অন্যদিকে এই অশুভ আঁতাত যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ে কোনও বাধা হতে না পারে তার জন্যই অভিষেককে দেখে নিতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ অভিষেক এখন সংগঠনের দায়িত্বে আছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এই যে অভিষেক এটা শুনে রাখো, অ্যামেম্বলির ভোটটাও সিপিএম বিজেপিকে দেবে। দেখে নাও এটা। কিছু শুনলেন? আপনার এলাকায় টাকা আসছে নাকি? না এলে আসবে। এটা বিজেপির ছলনা। আর সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গার পার্টি সিপিএম। এদের ছাড়ব না। ছাড়িওনি। ৩৪ বছর লড়াই করেছি। বামফ্রন্টের সবাই খারাপ ছিল না। কিন্তু সিপিএমটা সবচেয়ে বড় অত্যাচারী ছিল। তাই আমরা যদি লড়াই করে সেই বামফ্রন্টকে উপড়ে ফেলতে পারি, মোদী সরকারকেও পারি। ইন্ডিয়া–কে লিড বাংলাই দেবে। দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করব। তার থেকে বেশি কিছু নয়।’