আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষলগ্নে। তবে এই ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে আজ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন তাঁর প্রিয় খাবার এখন আর খাওয়া হয় না। কারণ কিন্তু একটাই—কাজের ব্যস্ততা। বাংলার মানুষের সেবা করতে নেমে নিজের খাওয়াদাওয়াও ঠিক মতো হয় না। এখন অবশ্য লোকসভা নির্বাচন চলছে। তাই প্রচারে ব্যস্ত থাকায় খাওয়াদাওয়ার ঠিক নেই। আর নির্বাচন না থাকলে বাড়ি, নবান্ন এবং জেলা সফর করতেই সময় কেটে যায়। তাই রাতে একবেলা খান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রিয় খাবার কী? মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় খাবার তেলেভাজা–মুড়ি। সেই প্রিয় খাবারও এখন আর খাওয়ার সময় হয় না। পাঁশকুড়ার সভা থেকে নিজেই জানালেন তাঁর সারাদিনের খাদ্যতালিকা।
আজ, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (দেব) দীপক অধিকারীর সমর্থনে প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই নিজের অতীত দিনের কিছু কথা স্মৃতিচারণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি বলেন, ‘আমি মুড়ি তেলেভাজা খেতে ভালবাসি। এখন অবশ্য আর খাওয়া হয় না।’ যেখানে মুখ্যমন্ত্রী একজন ভিভিআইপি। সেখানে নিজের প্রিয় খাবারও খেতে সময় পান না। কাজের চাপে সেটাও ভুলতে হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে শেষ দেড় মাস তিনি জেলায় পড়ে রয়েছেন। দিনে দুটি সভা এবং একটি পদযাত্রা করতে হচ্ছে তাঁকে। তাই প্রিয় জলখাবার খাওয়ার সময়ও পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন, হাওড়ার ভোটার গোটা ঘটনায় অবাক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সাধারণ জীবনযাপন করেন সেটা সকলেরই জানা। কোনও বিলাসব্যাসন বা বৈভব তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাই তো বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েও হাওয়াই চটি আর তাঁতের শাড়ি তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এখন তো খাওয়ারও সময় পাই না। খাই একবার রাতে। তখন যদি তেলেভাজা আর মুড়ি খাই, তাহলে তো খাওয়াটাই গেল। এমনিতেই এখন ভাত খাই না, রুটি খাই না। কিছু তো খেতে হবে।’ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে গতবারের জয়ী সাংসদ অভিনেতা দেবকেই এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এছাড়া বহুবার পাঁশকুড়ায় আসতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন অনেকবার এসেছিলেন, সেই কথা তুলে ধরেন সভায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘আগে কেন বারবার পাঁশকুড়া আসতাম জানেন? আপনাদের মসজিদ, যেটা রাস্তার উপর ছিল, রাস্তা চওড়া ছিল না, দু’পাশে অনেক দোকান, বাড়ি ছিল। এখানে আসলে আমাকে একবার দাঁড়াতেই হতো। মেদিনীপুর ঢুকলেই দাঁড়াতে হতো। একজনের মা আমাকে কাজু বাদাম ভেজে খাওয়াতেন। অসিত, নন্দ সাহায্য করেছে। ওঁরা আমার জন্য তেলেভাজা, মুড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতো। নন্দ, অসিত কি আজকের লোক ওঁরা? আমি যবে থেকে ছাত্র রাজনীতি করছি, তবে থেকে আছে।’