আজ, সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব চলাকালীন বড় কথা জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশজুড়ে চতুর্থ দফায় নির্বাচন শেষে বিজেপি এবার কতগুলি আসন পাবে? এই প্রশ্ন যখন রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে উঠছে তখন বনগাঁর নির্বাচনী জনসভা থেকে আসনের হিসেব জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়া জোট সরকারে আসছে বিপুল আসন নিয়ে বলেও জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার প্রত্যেক সভা থেকে ৪০০ আসন পার করার কথা বলেন। আজ জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৪০০ আসন তো দূরের কথা, ২০০ আসনও পেরোবে না বিজেপি। দেশে চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিনই ফলাফল আগাম ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে আজ, সোমবার সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এখনও পর্যন্ত দেশে কেমন ট্রেন্ড চলছে সেটা নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে ‘মোদীবাবু যায়েগা’ বলে স্লোগান দিতেই দর্শকাসন থেকে উত্তর এল ‘দিদি আয়েগা’। তখন তিনি বলেন, ‘দিদি তো এখানে আপনাদের সঙ্গেই আছে। তবে দিদি দিল্লিতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে নিয়ে আসবে। এখনও পর্যন্ত যা হিসাব, তাতে ভোট খুব ভাল হয়েছে। আর সেটা বুঝেই বাবুদের মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। ওরা বুঝতে পেরেছে এবার আর দিল্লিতে মোদীবাবু আসছেন না। আমার কাছে হিসাব আছে। এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি ৪০০ তো দূরের কথা ২০০ও পার করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: দাদুর ভোট দিতে এসে ধরা পড়লেন নাতি, কৃষ্ণনগরে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, দেশে বিজেপি বড়জোর ১৯৫ আসন পেতে পারে। আর ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ৩০০–৩১৫ আসন। এই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, ‘আজকের যে ভোট হচ্ছে, তার হিসাব এখনও আমি জানি না। তবে এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে বলে দিতে পারি, বিজেপি বড়জোর ১৯৫টি আসন পাবে। আর ‘ইন্ডিয়া’ গোটা দেশে পাবে ৩০০–৩১৫টি আসন পাবে। মোদী সরকার দেশ থেকে যাবে। আপনাদের দিদি দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গড়বে। মতুয়াদের প্রতি যদি মোদীর এত ভালবাসা, তবে তাঁদের নিঃশর্তে অধিকার দিচ্ছেন না কেন? ওরা এটা করবে না। আপনারা বরং এক কাজ করুন। এখানকার যে বিজেপি প্রার্থী তাঁকে বলুন আবেদন করতে, ফর্ম ফিল আপ করতে। দেখবেন করবে না। আসলে এটা একটা চক্রান্ত। কিছু করতে হলে আমার লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে মোদীকে।’
এছাড়া ৪০০ পারের স্লোগান দেওয়া বিজেপি প্রথম তিন দফার ভোটের পর অনেকটাই চুপচাপ হয়ে গিয়েছে। প্রথম তিন দফার নির্বাচনের পর অনেকটাই চাঙ্গা বিরোধী শিবির। বনগাঁর বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে নাম না করে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এখানকার বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন, কী করেছেন?’ শ্রোতারা সমস্বরে জবাব দেন, কিছু করেননি। সেটা শুনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘না করেছে। আমরা ধরে ফেলেছি। নাগরিকত্ব দেব বলে কিছু কিছু জায়গায় টাকা তুলেছে। তাই ইন্ডিয়া জোটকে ওখানে ক্ষমতায় এনে আমরা এখান থেকে সাহায্য করব। আমরা সবাইকে নিয়ে চলব।’