আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। আজ, বুধবার বারুইপুরে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন পরই ভোটগ্রহণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব কেন্দ্রে। জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ডহারবারে। তার মধ্যেই সিপিএম–বিজেপির মধ্যে সেটিংয়ের তত্ত্ব তুলে ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে লোকসভা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে তা জানিয়ে দিলেন। দমদম লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম–বিজেপির ‘সেটিং’ হয়েছে। বারুইপুরের সভা থেকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দাবির পর থেকেই তেতে উঠেছে সিপিএম।
এদিকে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তিন দলের প্রার্থীই। হ্যাটট্রিক করা সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিএমের প্রথমসারির নেতা সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা শীলভদ্র দত্ত বিজেপির টিকিটে লড়ছেন। সপ্তম দফার ভোটের আর মাত্র দু’দিন বাকি। তার আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, দমদম লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে সিপিএম–বিজেপির মধ্যে ‘সেটিং’ হয়েছে। এমন কথা তাঁর কানেও এসেছে। তাই আজ জনসমক্ষে তা তিনি নিয়ে এসেছেন। সুতরাং সুজন–শীলভদ্রের মধ্যে সেটিং হয়েছে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: ‘শওকত মোল্লাকে আমি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসি’, সিবিআই তলবের পরই প্রশংসা মমতার
অন্যদিকে আজ যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে বারুইপুরে একটি জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখার সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘লোকসভা ও বিধানসভায় কার ভোট কারা পাবে, সেই সমঝোতা হয়ে গিয়েছে সিপিএম–বিজেপির মধ্যে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট পাবে বামেরা। আর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট পাবে বিজেপি। এমনটাই ঠিক হয়েছে দুই দলের মধ্যে। কিছু কিছু জায়গায় বিজেপির সঙ্গে সিপিএমের আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে। একটা জায়গার নাম আমি বলে দিতে পারি, দমদম। লোকসভায় ভোটটা সিপিএম বিজেপিকে দেবে। আর ওখানে একটা বিধানসভা নির্বাচন (বরানগর উপনির্বাচন) আছে। সেখানে বিজেপি ভোটটা সিপিএমকে দেবে।’
এই অঙ্ক ফাঁস করে দেওয়ার পরই বেজায় চটেছে সিপিএম। তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রটি খালি হয়। তাই সেখানে উপনির্বাচন হবে। এই আবহে একে অপরকে ভোট দিয়ে উপকার করবে বলে পরিকল্পনা হয়েছে এমনই বোঝাতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘দমদমে এসে কেন এই কথা বললেন না মুখ্যমন্ত্রী? দমদমে এতগুলি সভা করলেন। সেখানে তো বলেননি। হঠাৎ যাদবপুরে গিয়ে বলতে হচ্ছে কেন? এর পিছনে কোনও গভীর অঙ্ক আছে নাকি! মুখ্যমন্ত্রীর ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট ফেল।’