আগামীকাল, শনিবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার একদিন আগে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বড় অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও দু’দফার ভোট বাকি রয়েছে। রাত পোহালেই ষষ্ঠ দফা এবং তারপর মাস পয়লা সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। প্রত্যেক দফার ভোটের আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়িতে করে টাকা ঢোকাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি, মালদা–সহ নানা এলাকায় বিজেপি নেতাদের গাড়ি ভর্তি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এবার সেটাই সামনে নিয়ে এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আজ, শুক্রবার ঘাটালের দাসপুরে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪ লক্ষ টাকা। সেটা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কারণ রাত পোহালেই ঘাটালে ভোট রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, টাকা বিলি করে ভোট কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও সে অভিযোগ মানতে চায়নি বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এবং মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘গত কদিন ধরেই বিজেপির নানা নেতার কাছ থেকে প্রচুর টাকা উদ্ধার হচ্ছে। আজও দাসপুরে পুলিশ নাকা চেকিংয়ের সময় এক বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে প্রচুর টাকা পেয়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব আরও বেশি করে নাকা চেকিং করতে।’
আরও পড়ুন: সিরিয়া পারভিন তৃণমূলে যোগ দিতেই এল অমিত মালব্যের ফোন, সন্দেশখালির পর্দাফাঁস
এদিকে এই ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। কারণ যে নেতা ধরা পড়েছে সে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে ভোটে খাটার দায়িত্বে ছিল বলে সূত্রের খবর। পুলিশ তাকে আটক করেছে। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বেশি করে নাকা চেকিং করুন। তাহলেই সব ধরা পড়ে যাবে। কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয়। আর এখানে বিজেপি হারাতঙ্ক রোগে ভুগছে। শুনুন এখন সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবার যদি মোদী ক্ষমতায় আসে, তবে আর কোনও নির্বাচন হবে না। দেশটাকে বিক্রি করে দেবে। যত শীঘ্র সম্ভব বিজেপি সরকারকে সরানো যায় ততই মঙ্গল।’
অন্যদিকে দাসপুরের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রশাসন থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি ওই টাকার বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল না বিজেপি নেতার কাছে। তাঁর কথায়, ‘পাঁচ বছর কাজ না করে এখন টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে। কতটা নির্লজ্জ এই বিজেপি দল। বিজেপি ভাঁওতাবাজ পার্টি। বিজেপি মিথ্যেবাদী পার্টি। বিজেপি পার্টি চাকরি কেড়ে নেওয়ার পার্টি। বিজেপি ধান্দাবাজ পার্টি।’ মালদা, জলপাইগুড়ি, মেদিনীপুর এবার দাসপুরে টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। সব ক্ষেত্রেই ধরা পড়ল বিজেপি নেতারা।