আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। আজ, বুধবার বারুইপুরে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন পরই ভোটগ্রহণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব কেন্দ্রে। জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ডহারবারে। তার মধ্যেই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লাকে তলব করল সিবিআই। কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে। যদিও এখনই হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না শওকত। তিনি সময় চেয়েছেন। তবে আজ, বুধবার নির্বাচনী সভা থেকে শওকত মোল্লাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়।
এদিকে মঙ্গলবার মাঝরাতে সিবিআই নোটিশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। বুধবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তবে শওকত নিজাম প্যালেসে পা রাখেননি। বরং তাঁকে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে। আর সেখানে তাঁকে পাশে ডেকে পিঠ চাপড়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঞ্চে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শওকত মোল্লাকে আমি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসি। ও দিল দিয়ে কাজ করে।’ সভার শেষেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাছে ডেকে আনেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ককে। সুতরাং শওকত মোল্লা এখন নির্বাচনী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
আরও পড়ুন: ‘উনি বুঝে গিয়েছেন, উনি হেরে যাবেন’, মোদীর বাংলায় সেরা সাফল্যের পাল্টা দিলেন মমতা
অন্যদিকে সপ্তম দফার নির্বাচনে যে লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট রয়েছে, সেখানে শওকত মোল্লার ভূমিকা অনেক বেশি। যাদবপুর থেকে জয়নগর— সব কেন্দ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করছেন তিনি। শওকত মোল্লা বিধায়ক হলেও সংগঠন খুব ভাল বোঝেন। তাই প্রার্থীদের জন্য তিনিই মাঠে নেমে কাজ করছেন। আজ, বুধবার যাদবপুরের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনেই বারুইপুরে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চেই দেখা যায় শওকত মোল্লাকে। আর লোকসভা নির্বাচনে দলের কাজের কথা বলেই সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়েছেন শওকত মোল্লা। উলটে সময় চেয়ে নিয়েছেন। শওকত মোল্লা যেখানকার পর্যবেক্ষক সেই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র যাদবপুর কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে।
এছাড়া এই সিবিআই নোটিশের কথা জানতে পেরে তা নিয়েও মঞ্চ থেকে রীতিমতো সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হাত ধরে পাশে নিয়ে আসেন শওকতকে। আর তার পরই তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘বেচারা শওকতের মতো একটা ছেলেকেও মাঝরাতে নোটিশ পাঠিয়েছে, ভাবুন। বলছে কালকে এসে দেখা করো। জমিদারি নাকি? এখন নির্বাচন করবে নাকি দেখা করতে যাবে? লজ্জা করে না! ইডি, সিবিআই অফিসারদের বলব সারাজীবন মোদীবাবু থাকবেন না। দেবরাজকেও নোটিস পাঠিয়েছে। ভোটের প্রচারের মাঝে এসব করা যায় না।’