আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মধ্যগগনে। তবে এই ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে আজ দেশজুড়ে কেন্দ্রের নয়া পেনশন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রেলকর্মীরা। আর আজই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের নির্বাচনী সভা থেকে রেলকর্মীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কড়া সমালোচনায় সরব হলেন। একদা রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি এই বিষয়টি খুব ভাল করে জানেন। আর এখন সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশ থেকে উৎখাত করতে চাইছে। সেখানে রেলকর্মীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের জন্য প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কারণ আর পাঁচ দিনের মাথায় হবে লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। সেখানে মোদী সরকার কোনও কাজ করেনি বলেই অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। উলটে বিজেপি চাকরি খেয়ে নেয় বলে বারবার বলেছেন তিনি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বলেছিল ৫ বছরে ১০ কোটি লোককে চাকরি দেবে। একটা লোককেও চাকরি দেয়নি। উল্টে রেলের পেনশন তুলে দিয়েছে। রেলকর্মীদের এই আন্দোলনকে তাই আমি সমর্থন জানাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। চাকরি দিতে পারে না, উল্টে খেয়ে নেয়। আমার ১০ লক্ষ চাকরি রেডি আছে।’
আরও পড়ুন: বিজেপির গয়েশপুর নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, শান্তনুর ক্ষোভ, রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পেনশন প্রকল্প নিয়ে ভীষণভাবে অসন্তুষ্ট রেলের একাধিক কর্মী সংগঠন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পুরনো পেনশন স্কিম চালু করা হোক। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরনো পেনশন স্কিম বেশি ভরসাযোগ্য। তাই নয়া পেনশন স্কিম তুলে দিয়ে পুরনোকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। এই নিয়ে বারবার দাবি করা হলেও এতদিনে কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলেই অভিযোগ। তাই এবার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘বড়লোকদের সুবিধা করে দিতেই রেলের মতো লাভজনক সরকারি সংস্থাকেও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার।’
এছাড়া পুরনো পেনশন স্কিমে যে নিয়ম ছিল তাতে মোট বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ নিশ্চিতভাবে পাওয়া যেত। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে নতুন পেনশন স্কিম চালু হয়েছে তাতে টাকা পেতে গেলে বাজারের উপর নির্ভর করতে হবে। তাই অবসরের পর ঠিক কত টাকা মিলবে সেটা নিশ্চিতভাবে আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। রেল কর্মীরা নয়া পেনশন স্কিমকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন। আর রেলের নানা কাজ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘উনি তো পুরনো ট্রেন রঙ করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস করেছেন। আমার তৈরি করে দেওয়া দুরন্ত এক্সপ্রেস কোথায় গেল? তার তো টিকিও পাচ্ছি না।’